পরম্পরা, রীতি-নীতি, প্রথা মেনে অস্ট্রেলিয়ার অন্য শহরের মতো সিডনিও সেজে ওঠে উৎসবের রঙিন আলোয়। আতশবাজির রোশনাই, সঙ্গীত, কত্থক, ভরতনাট্যম— ছন্দের তালে তালে সন্ধ্যার পরিবেশ হয়ে ওঠে বর্ণময়।
হিন্দু পুরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গার আরেকটি একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। দেবীপক্ষের শেষে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে উমা মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন। তিনি পূজিত হন কখনও শ্যামা রূপে, কখনও বা কালী রূপে। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য।
দীপাবলি হলো অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাওয়ার উদযাপন। বিশ্বের বহু সংস্কৃতি এখানে একত্রিত হয়েছে। সবাইকে বিনোদন, ভালোবাসা, আলোয় রাঙিয়ে দিতেই দীপাবলির আয়োজন হয়ে থাকে। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এবারের উত্সবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
দীপাবলির সন্ধ্যায় আতশবাজির প্রদর্শনের পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শুধু সঙ্গীত ও নাচই নয়, ছিল রামায়ণের আখ্যান- যার মিশ্রণে তৈরি হয় এক মোহনীয় পরিবেশ।
এবারের দীপাবলি উপলক্ষে শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, বিরোধীদলীয় প্রধান অ্যান্থনি আলবানিস, এনএসডাব্লিউ রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্লাডিস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
একে