ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

নাইজেরিয়ায় রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
নাইজেরিয়ায় রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম।

ঢাকা: নাইজেরিয়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। যৌথভাবে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ জন্মবার্ষিকীর আয়োজন করে। 

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের নাইজেরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ১৫৮তম ও কাজী নজরুলের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আতাউর রহমান প্রমুখ।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুলের বিশাল অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চার বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।  

তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুল তাদের সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন। উভয়ের কবিতা ও গান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক উৎসাহ যোগায়। সার্বজনীনতা এবং ধর্মনিপেক্ষতার চেতনা তাদের লেখার পরিস্ফুট হয়েছে। সারাবিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণু এবং হিংসা-বিদ্বেষ মোকাবিলায় তাদের লেখনীয় চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক।

সভায় উপ-সচিব আতাউর বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ সাহিত্য কর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে সমস্যা সংকুল পৃথিবীতে তারা শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে হাইকমিশন মিলনায়তনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীতকে উপজীব্য করে। বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দলের সদস্য ডালিয়া আহমেদের উপস্থাপনায় বিশিষ্ট বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিমের একক পরিবেশনা, সঙ্গীত শিল্পী সালমা আকবর, ইয়াসমিন আলী, সফিক তুহিন, কাজী মুয়িত শাহরিয়ার সিরাজ জয়, ম্যনুয়েল সোরেন, আব্রু নকরেক এবং প্রবাসী ডা. জয়শ্রী রায় গান পরিবেশন করেন। নৃত্য শিল্পী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, সংগীতা চৌধুরী, আফরিন সুলতানা নিপু, রাহিনা জামান ও শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুকের পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে। দেবু চৌধুরীর তবলায়, কাজী যোবায়ের কায়সার কি বোর্ডে ও অভিজিত চক্রবর্তী গিটারে এবং মো. নজরুল ইসলাম ঢোলের তালে শিল্পীদের সহযোগিতা করেন।

অনুষ্ঠানে নাইজেরিয়ার সুশীল সমাজের সদস্য, প্রবাসী বাংলাদেশি, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি, হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও তাদের পরিবার এতে অংশগ্রহণ করেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়ন করা হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
টিআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।