জার্মানির কালচারাল সিটি হিসেবে পরিচিত হামবুর্গের অদূরেই সাগর। নগরের বুক চিরে বয়ে চলছে প্রমত্তা নদী এল-বে।
তেমনই এক সৌভাগ্যময় রোদেলা দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব। ৫ সেপ্টেম্বর রোববার বন্দর নগরীর হামার পার্কে বাংলাদেশ সমিতি এ.ফাও. হামবুর্গের উদ্যোগে আনন্দমেলা ও গ্রিল পার্টির আয়োজন করা হয়।
এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা করোনার কারণে এক প্রকার গৃহবন্দি ছিলেন। মাসের পর মাস একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কাছে থেকেও যেন কত দূর! জরুরি প্রয়োজনে দেখা হলেও মাস্কে ঢাকা মুখ। নিরাপদ দূরত্বে ক্ষণিকের সাক্ষাতে মন খুলে কথা বলার তেমন সুযোগ নেই।
করোনার বিধিনিষেধ কিছুটা হালকা হতেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ সমিতি এ.ফাও হামবুর্গ এ অচলায়তনের মিলন-মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। সংগঠনটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে হামার পার্কের সবুজের বুকে এসে সমবেত হন। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের বাংলা ভাষার কলকাকলিতে দেখে যে কারো মনে হবে এ যেন জার্মানির বুকে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
মজাদার নানান রকমের গ্রিল করা খাবারের সঙ্গে গল্প, আড্ডায় জমে ওঠে হামার পার্কের অরণ্যঘেরা সবুজ প্রান্তর। উপস্থিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার থিম ছিল বাংলাদেশ। আর বড়দের বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্ট ছিল টান টান উত্তেজনায় ভরা।
গল্প-কথায় সময় যে কখন ফুরিয়ে যায়, সেদিকে কারো খেয়ালই ছিল না।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দলমত, জাতি-ধর্ম, পদ-নির্বিশেষে আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
আনন্দ-মেলায় প্রায় ২০০ প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।
বাংলাদেশ সমিতি এ.ফাও ১৯৭২ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি জার্মানিতে সরকারিভাবে নিবন্ধিত।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
এসআইএস