বিশাল এ আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অনুষ্ঠানের আয়োজক লালন একাডেমি ও জেলা প্রশাসন। আর অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আয়োজন শেষ হয়েছে। বাউল ও সাধুদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত। দেশ-বিদেশ থেকে অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ’
এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লালন ভক্তরা এসে একাডেমি ভবনের নীচতলার পুরো মেঝে জুড়ে আসন পেতে নিয়েছেন। থাকার জায়গার সমস্যা হবে ভেবে অনেকেই তিন থেকে চারদিন আগেই চলে এসেছেন আখড়া বাড়িতে। এ আয়োজনে যোগ দেয়ার জন্য বাউলদের কোন চিঠি দেয়া হয় না, জানানো হয় না নিমন্ত্রণ। তারপরও এরা এক উদাসি টানে দলে দলে ছুটে আসেন এ বাউল তীর্থে।
একাডেমি ভবন ছাড়াও মেলা মাঠের দক্ষিণ দিকের স্থায়ী মঞ্চের আশপাশে ফকির-সাধুরা অবস্থান নিয়েছেন। মেলাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক স্টল। মেলা মাঠের দক্ষিণের স্থায়ী মঞ্চে বসবে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন। আলোচনা সভা ছাড়াও প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলবে লালনের গান।
সোমবার সন্ধ্যায় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি।
বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক সাধক পুরুষ লালন সাঁই দেহত্যাগ করেন। এরপর থেকে লালনের অনুসারীরা প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
জেডএম/