ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

হবিগঞ্জে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১০ হাজার হেক্টর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
হবিগঞ্জে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১০ হাজার হেক্টর

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে রোপা আমন তোলা শেষে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১২ হাজার ৮৫০ হেক্টর।

 

হবিগঞ্জে ২০২২ সালে এ জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। সে হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে লক্ষ্যমাত্রা কমেছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর।  

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ শেষ হয়েছে। এখন পুরোদমে চারা রোপণের কাজ চলছে।  

জেলার কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে কৃষকরা আবাদের সরঞ্জাম নিয়ে হাওরে যাচ্ছেন। কেউ জমি তৈরি করছেন, কোথাও কোথাও পুরোদমে চলছে রোপণের কাজ। পুরুষের সঙ্গে নারী ও শিশুরা কাজে যোগ দেওয়ায় নেই শ্রমিক সংকটও।

কৃষি বিভাগ জেলার ৯ উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে।  

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষক ওয়ারিশ মিয়া জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফলভাবে রোপা আমন ধান তোলা শেষ হয়েছে। পোকার আক্রমণে রোপায় ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো চাষে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।  

বানিয়াচং উপজেলার ঈমান জানান, ইতোমধ্যেই হাওরের নিচু জমিতে চারা রোপণ শেষ। এখন উঁচু জমিতে সেচের মাধ্যমে আবাদ চলছে। এবার রোপা আমনের জমিতেও বোরো চাষ করা হচ্ছে। এতে আবাদের পরিমাণ বেড়েছে।

লাখাই উপজেলার নুরুজ্জামান জানান, তিনি এবার ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। ইতোমধ্যে ১০০ বিঘা জমির চাষ শেষ। চারা রোপণের পর পরই তিনি জমিতে সার প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কারের কাজে লেগে যাবেন।

দুই বছরে বোরোর আবাদ ১০ হাজার হেক্টর কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ জানায়, বিকল্প ফসলের চাষ বেড়ে যাওয়া বোরো চাষ হ্রাস পাওয়ার একটি বড় কারণ। এছাড়া আরও বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।