চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলায় এ বছর ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন এই ধান কর্তন শুরু হবে।
কৃষি বিভাগ বলছেন, সবজি ভালো রাখার জন্য কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের কৃষি মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ধান খেতগুলোর ফলন খুবই ভালো। তবে সবজি ক্ষেতগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব মাঠে এ বছর কৃষকরা বোরো ধানের পাশাপাশি পাট, ভুট্টা ও সবজির মধ্যে কইডা, চিচিঙ্গা, করলা, কচু, ঢেঁড়স, ডাটা, পুঁইশাক আবাদ করেছেন। পানির অভাবে অনেক কচুর জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে কচু গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। অধিক তাপে ভুট্টা গাছগুলো খুব দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে।
ঘোষেরহাট এলাকার কৃষক লতিফ মাল জানান, তার প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছেন। টানা কয়েকদিনের গরমে করলা পেকে নিচে পড়ছে এবং গাছের পাতাগুলো মরে যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক জসীম উদ্দীন বলেন, উন্নত বীজ ব্যবহার করে একাধিক জমিতে কইডা, চিচিঙ্গা ও করলা আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত সবজির জমিগুলো মোটামুটি ভালো আছে। তবে আরও গরম পড়লে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
একই গ্রামের কৃষক জহিরুল হক গাজী বলেন, আমার জমিতে এ বছর কইডি, চিচিঙ্গা ও করলা আবাদ করেছি। তীব্র গরমের মধ্যে জমিতে পানি না দিতে পারায় ফুল হলেও ফলগুলো হচ্ছে না। ফুলগুলো মরে যাচ্ছে।
কৃষক মোহাম্মদ বিল্লাল গাজী। তিনি এ বছর বোরো ধান এবং সবজি উভয় আবাদ করেছেন। টানা তাপের কারণে সবজির জমিগুলোতে পানি দিচ্ছেন। আর ৩ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। খুব শিগগিরই তিনি কর্তন শুরু করবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুরে বোরো ধান আবাদে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। ফলন ভালো হয়েছে। তবে টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছি। বৃষ্টি না থাকায় এবং জমিতে পানি না দেওয়ার কারণে সবজির ক্ষতি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সবজির ফলন ভালো রাখার জন্য মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এসআরএস