ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

ফেনীতে আবাদ বেড়েছে বিদেশি ফল ড্রাগনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
ফেনীতে আবাদ বেড়েছে বিদেশি ফল ড্রাগনের

ফেনী: ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে আবাদ বেড়েছে বিদেশি ফল ড্রাগনের। ফলটি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তরুণ উদ্যোক্তা ও সাধারণ চাষিরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগও দিচ্ছে পরামর্শ ও সহায়তা। উৎপাদন বাড়ায় জেলায় ফলটির দামও কমেছে। এক সময় কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সব ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে এক কোটি টাকার বেশি ড্রাগন ফল উৎপাদন হবে ফেনীতে।

ফেনী শহরতলীর জান্নাত অ্যাগ্রোতে চার একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করেছেন তিন বন্ধু। নয় মাস আগে গাছ রোপণের পর পরিচর্যা ও যত্নে তাদের গাছগুলোতে আসতে শুরু করেছে ফলন। চাষিরা বলছেন সব মিলিয়ে লাখ খানেক টাকা খরচ হলেও এ বিনিয়োগে তারা দুই থেকে তিন গুন তুলতে পারবেন।

ড্রাগনের গাছ একবার লাগালে থাকে বেশ কয়েক বছর। সে হিসেবে এটি তাদের স্থায়ী বিনিয়োগ। ক্রেতাদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন দারুণ সাড়া।

উদ্যোক্তা তোফায়েল আহমেদ রনি বলেন, আমরা ড্রাগনের বাগান নিয়ে আশাবাদী। চাষাবাদের পর গাছে ফলনও আসছে। মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

জেলার দাগণভূঞাঁ উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুরের জগতপুর গ্রামের বিসমিল্লাহ অ্যাগ্রোতে ৪০ শতক জমিতেও আবাদ করা হয়েছে এ ফলের। ইতোমধ্যেই গাছে আসতে শুরু করেছে ফলন। গাছের ফলনে সন্তোষ প্রকাশ করেন চাষি। প্রথম বছরেই দেড়শো কেজির মতো ফলন এসেছে। পরের বছর থেকে আরও বাড়ার আশাও করছেন তারা।

শুধু এ দুটি স্থানে নয় জেলার আরও ৫০টিরও বেশি স্থানে স্বল্প-বিস্তরভাবে ফলটির আবাদ হচ্ছে। চাষিরাও এ ফলটি চাষ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে ক্রেতারাও কমদামে ফলটি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন।

ব্যাংকার নবীউল হক খান বলেন, ‘পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি ফল ড্রাগন এক সময় আমরা কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়ও কিনেছি। এখন দাম কমেছে বাজারে। এটা সম্ভব হয়েছে উদ্যোক্তা ও চাষিরা ফলটি আবাদ করার কারণে।

এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে ফলটির আবাদ বাড়ানোর জন্য তারা কৃষক পর্যায়ে পরামর্শ থেকে শুরু করে ঋণ সহায়তা এবং কারিগরি অনেক সহায়তাও করছেন। কৃষকরা কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।

দাগনভূঞার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষি ও উদ্যোক্তাদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় চলতি মৌসুমে সাত হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ হয়েছে। গত এক বছর আগেও আবাদ হয়েছিল পাঁচ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে ৭ দশমিক ৯০ মেট্টিক টন ড্রাগন ফল।

জেলায় চলতি মৌসুমে ড্রাগন ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ দশমিক ০৭ মেট্টিক টন। ২০০ টাকা কেজি ধরে হলেও চলতি মৌসুমে এক কোটি ১১ লাখ টাকার ড্রাগন ফলে আবাদ হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।