ঢাকা: দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতের সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে যে দামে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে তাতে হতাশ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার এ কোম্পানির শেয়ার ৫২ টাকায় লেনদেন শুরু করে। পরে সর্বোচ্চ ৫৭ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ টাকায় লেনদেন হয়।
ডিএসই’র সদস্য শাকিল রিজভী ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগ করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি লেনদেন শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এসেছেন প্রথমে এ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার জন্য। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় সব শেয়ার বিক্রি করেননি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “এমনিতেই সামিট গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক কমে গেছে। তারপরও নতুন এ কোম্পানির আইপিওতে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিয়ে সবাই আবেদন করেছি। কিন্তু কোম্পানির আমাদের আশাহত করেছে। আমরা আশা করেছিলাম, এ কোম্পানির শেয়ার কমপক্ষে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু এখন দেখছি চালান ওঠানোই কষ্টকর। ”
এদিকে, এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
জানা যায়, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-২০১২) কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ দশমিক ৬৪ টাকা।
গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ দশমিক ৪৮ টাকা।
অন্যদিকে, গত ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর-২০১২) কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৬ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪ দশমিক ৭৪ টাকা।
গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ৩২ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪ দশমিক ২৯ টাকা।
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে আইপিওর অনুমোদন পাওয়ার পর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের মোট ৩ কোটি শেয়ার বাজারে ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। সংগৃহীত ১২০ কোটি টাকা দিয়ে প্রেফারেন্স (অগ্রাধিকার) শেয়ারের আংশিক পরিশোধ করবে।
গত ২৪ এপ্রিল শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’র আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) প্রস্তাব অনুমোদন দেয় বিএসইসি। সে সময় সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য ৪৫ টাকা (৩৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ) নির্ধারণ করে আইপিওর অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কিন্তু বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক হওয়ায় কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জুলাই সামিট পূর্বাঞ্চলের চাঁদা গ্রহণের তারিখ স্থগিত করা হয়। এরপর গত ৮ অক্টোবর আইপিওতে অনুমোদন পাওয়া প্রতিটি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য ৪৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে পুনরায় বিএসইসিতে প্রসপেক্টাস জমা দেয় কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৩
এসএনএইচ/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর