ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

টানা বর্ষণে কুষ্টিয়ায় ২ হাজার হেক্টর রোপা আমনের ক্ষতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
টানা বর্ষণে কুষ্টিয়ায় ২ হাজার হেক্টর রোপা আমনের ক্ষতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া: কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও হালকা বাতাসে কুষ্টিয়ায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, কুষ্টিয়ায় বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২০ হেক্টর, দৌলতপুর উপজেলায় ৭০০ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ২০৫ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ২৭০ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ১৮০ হেক্টর ও কুমারখালী উপজেলায় ২৫ হেক্টর।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃষক বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছিলেন তিনি।

কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তার সব ধানগাছ কাঁচা অবস্থায় পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন গো-খাদ্য করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।

একই উপজেলার সদরপুর গ্রামের কৃষক বরকত আলী, আশিকুল ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম ও ইয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাদের ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে তারা সর্বশান্ত হয়ে গেছে। এখন ধানের যে অবস্থা, তাতে কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমআমবাড়ীয়ার চাষী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিজের সংসার চালাবেন এই আশায় জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হয়ে তার এ আশা ভেস্তে গেছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। এখন তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাময়িক জলাবদ্ধতায় যেসব জমির ক্ষতি হতে পারে সেসব জমির পানি দ্রুত শুকিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ৮০% ধান পরিপক্ক হলে কর্তন করতে এবং যেসব জমির ধান বৃষ্টি বা বাতাশে হেলে পড়েছে সেগুলোর ৪-৫ টা ধানের গোছা একত্রে বেধে দিতে বলা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খুরশীদ আলম বাংলানিউজকে জানান, নিম্নচাপ, অতিবৃষ্টি ও হালকা বাতাশে জেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ফুল অবস্থায় যেসব ধান গাছ হেলে পড়েছে সেগুলোর ক্ষতি হবে। তবে নাবি ধানগুলোর উপকার হবে এবং সেই সাথে পানির অভাবে যেগুলোর ফুল বের হচ্ছিলো না সেগুলোর জন্য ভালো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সব মিলিয়ে বৃষ্টিতে কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে ভালো ফলনের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।