ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় চাষির মুখে হাসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় চাষির মুখে হাসি বিস্তীর্ণ আমনের মাঠে শেষ পর্যায়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: রোগ ও পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর ভোলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তারা।

আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এ বছর ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলনায় ফলন অনেক ভালো।

এতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।    

আর কৃষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। ফলে ফলনও অনেক ভালো হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, ভোলার সাত উপজেলায় এক লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি।

এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বোরহনউদ্দিনে ১৮ হাজার ৫০০, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার হেক্টর, মনপুরায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর, লালমোহনে ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর এবং চরফ্যাশন উপজেলায় ৭০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।

গত বছর জেলায় ১ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিন টন চাল উৎপাদিত হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় ফলন অনেক ভালো বলে জানিয়েছেন চাষি ও কৃষি বিভাগ।  ছবি: বাংলানিউজভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ আমনের মাঠে শেষ পর্যায়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন, কেউ বা আগাছা কাটছেন। পোকা বা কোনো রোগের আক্রমণ নেই। ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

দক্ষিণ রতনপুর গ্রামের কৃষক মোসলে উদ্দিন বলেন, ‘গত ৩০ বছর ধরে আমনের চাষ করছি। এ বছরও ১৫ গণ্ডা জমিতে আবাদ করেছি, ক্ষেতের অবস্থা অনেক ভালো। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভ হবে’।

দেড় কানি জমিতে আমনের চাষ করেছেন কৃষক ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি, ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে’।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ১০ গণ্ডা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। প্রথমদিকে কিছুটা পোকা থাকলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতের অবস্থাও অনেক ভলো।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘প্রতি বছরই জেলায় আমনের ভালো ফলন হয়ে থাকে। তাই এ বছর কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি। এবারের ফলন আরও ভালো হবে বলে আমরাও আশাবাদী।

বছরের আগস্ট মাসে আমনের আবাদ শুরু হয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাটার উপযোগী হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।