লবণাক্ততা দূর করা গেলে বোরো ধানেরও বাম্পার ফলনের পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ ও চাষিরা।
উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শ্যামনগরে লবণাক্ততার কারণে কৃষি ফসল খুব কম হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া মনে করেন, লবণ পানিতে কৃষি-প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হয়। খালগুলোতে মিষ্টি পানি ধরে রাখলে মৎস্য চাষের পাশাপাশি সেচের মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ‘লবণাক্ততার কারণে এখানে বোরো মৌসুমে খুব কম জমিতে ধান হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় আমন মৌসুমে আবাদ বাড়ে। বেশি বৃষ্টিপাতে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে'।
‘মিষ্টি পানির আধার বাড়ানো গেলে আমনের মতো বোরো মৌসুমেও ধানের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব’। এজন্য সরকারি খালগুলোতে লবণ পানি তুলে মাছের চাষ না করার সুপারিশও করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হায়বাতপুর থেকে নওয়াবেকী হয়ে মুন্সীগঞ্জ ও শ্যামনগর থেকে সরাসরি মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশের ফসলের মাঠগুলো ভরে গেছে সোনালী ধানে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে চিনে কানাই, আট বিঘা জমিতে বিআর-৩০, ১২ বিঘা জমিতে বিআর-১০ ও ছয় বিঘা জমিতে বিআর-২৩ ধানের চাষ করেছেন। তার ক্ষেত সোনালী ধানে ভরে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে সেগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এএসআর