ভোলার কৃষকদের উৎপাদিত এসব মুগ ডাল এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে জাপানে। এতে একদিকে যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা, অন্যদিকে মুগ ডাল চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের পেইজ প্রকল্পের আওতায় মুগ ডালের জাত উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের উপর গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা জেলার পাঁচটি উপজেলায় আট হাজার কৃষককে বারি মুগ-৬ বীজ চাষে প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণ নিয়েই মুগ চাষে ঝুঁকে পড়েন ভোলার চাষিরা।
চরফ্যাশনের শশীভূষন এলাকার কৃষক দুলাল, বোরহানউদ্দিনের খায়েরহাট এলাকার তোফাজ্জল, পূর্ব ইলিশার আমির হোসেন ও পরাণগঞ্জের শাজাহান লাহড়ি বাংলানিউজকে জানান, এ বছর মুগ ডালের ক্ষেতে কোনো রোগ বা পোকার আক্রমণ না হওয়ায় মুগ ডাল চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের। কারণ, উন্নত জাতের বারি মুগ-৬ চাষাবাদ অত্যন্ত সহজলভ্য।
কৃষি বিভাগ ও বেসরকারি (এনজিও) সংস্থা গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা জানিয়েছে, ভোলার উৎপাদিত মুগ ডাল এখন জাপানে যাচ্ছে। জাপানের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ইউগ্লেনার প্রতিনিধিরা কৃষকদের কাছ থেকে ৬০ টাকা দামে বারি মুগ-৬ কিনছেন। কৃষকরা কেজি প্রতি বেশি দাম পেয়ে খুশি। ইতোমধ্যে জাপানি সংস্থাটি ৩০ মেট্রিক টন মুগ ডাল সংগ্রহ করেছে বলেও জানা গেছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন মহিন বলেন, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের পেইজ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা জেলার পাঁচটি উপজেলায় আট হাজার কৃষককে বারি মুগ-৬ প্রশিক্ষণ দেয়। সেই প্রশিক্ষণ পেয়ে কৃষকরা মুগ ডাল আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছে। গত বছরও একইভাবে মুগ আবাদ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছিল।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, কৃষকরা বাজার দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে আরো বেশি মুগ ডালের আবাদ করবে বলে আমরা মনে করছি।
এ বছর চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের আবাদ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এসআরএস/আরএ