ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

দাম বেড়েছে ডিম, মুরগি ও সবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
দাম বেড়েছে ডিম, মুরগি ও সবজির

ঢাকা: রাজধানীর কাঁচা বাজারে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও কিছু কিছু সবজির। তবে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
 

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও মালিবাগ বাজার থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

আর পাকিস্তানি কক ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম সাগর জানান, এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি পাইকারি ১০৫ কেজি দরে কিনে আমরা ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এখন আমাদের কিনতেই হচ্ছে ১১৭ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।  

তিনি জানান, কোরবানি ঈদের পর মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গিয়েছিল। এখন চাহিদা আবার বাড়ায় দামও বাড়ছে।

খামারের মুরগির ডিম গত সপ্তাহে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা হালি দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা হালি দরে। তবে ডজন হিসেবে কিনলে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশি মুরগির ডিম মিলছে প্রতি ডজন ১৮০ টাকায়।  

এদিকে গরুর মাংস আগের মতোই ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

কাঁচাবাজারের চিত্র।  ছবি: বাংলানিউজ

সবজির বাজারও এ সপ্তাহে কিছুটা চড়া বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। শসা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন আগের মতোই ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উস্তে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুমুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়ে ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এটি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ২৮ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।  

এদিকে দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। দেশি রসুনের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা প্রতিকেজি।  

মাছের বাজার আগের মতোই রয়েছে। দাম সস্তা হওয়ায় মানুষের ঝোঁক এখন ইলিশের দিকেই। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। তবে ওজনে বড় ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি। রামপুরা বাজারে ১ কেজি ৬০০ গ্রামের একটি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। চাল-ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার আগের মতোই রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এজেড/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।