ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

স্বল্পমূল্যের উন্নত গোখাদ্য ‘ভুট্টা’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
স্বল্পমূল্যের উন্নত গোখাদ্য ‘ভুট্টা’ শ্রীমঙ্গলে গোখাদ্য হিসেবে উৎপাদিত ভুট্টা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ভুট্টা গাছ। তাতে ঘন সবুজের সৌন্দর্য। দুই পাশের আলক্ষেত দিয়ে এগিয়ে গেলেই দেখা যায় ভুট্টার মনোমুগ্ধ চাষ। সারি সারি গাছগুলো দেখে ভরে ওঠে মন। 

পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সামান্য দূরে শাহজিবাজার এলাকায় গেলেই পাকা সড়ক থেকেই চোখে পড়বে বিশাল ভুট্টাক্ষেত। তবে এই ভুট্টা গোখাদ্যের জন্য লাগানো।

মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম, শ্রীমঙ্গল-এর পরিচালক সৌরভ রায় বাংলানিউজকে বলেন, এ ভুট্টা আমরা চাষ করি আমাদের ফার্মের গাভীর খাদ্যের জন্য। স্থানীয়ভাবে ৬ বিঘা লিজ নেওয়া জমিতে আমরা ভুট্টাক্ষেত করেছি। মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম নামে আমাদের একটি গরুর খামার আছে। আমাদের ক্ষেতের ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করে তারপর গরুকে খাওয়ানো হয় এবং অবশিষ্টগুলো বাজারে বিক্রি করা হয়।    

ভুট্টা চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, গত নভেম্বরের শেষদিকে এগুলো লাগানো হয়েছে। গাছে ভুট্টা ধরতে প্রায় চার মাসের মতো সময় লাগে। ভুট্টা ধরার পর পুরো গাছ আমরা কেটে ফেলি। তারপর মেশিনের সাহায্যে ছোট ছোট পিস করে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে প্রায় একমাস ড্রাম বা পলিথিনের ভেতরে ফেলে রাখি। একমাস পরে খুলে গরুকে খাওয়ানো হয়।  

মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম সম্পর্কে সৌরভ বলেন, সারাদেশে মেঘডুবি এগ্রো ফার্মের আটটি ব্রাঞ্চ আছে। এসব ফার্মে প্রায় ৩ হাজার গরু রয়েছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রীমঙ্গলে আমি মেঘডুবির একটি ব্রাঞ্চ এনেছি। আমার ফার্মে ৭০টি গরু রয়েছে।  

সৌরভ বলেন, গরু খামারিরা অনেক সময় ফিড খাওয়ান। এই ফিডের দাম বেশি। সেসব ছোট খামারিদের খরচ কমানোর জন্য এটি আমাদের মূল টার্গেট। আমরা গরুর খাদ্য হিসেবে এই উন্নত গোখাদ্য ‘ভুট্টা সাইলেজ’ বাজারজাতও করছি।  

ভুট্টা গরুর সবচেয়ে প্রিয় খাবার। ১ কেজি ‘ভুট্টা সাইলেজ’ এর দাম ১২ টাকা এবং ৫০ কেজি বস্তার দাম ৬০০ টাকা।

অন্যান্য খামারিদের সম্পর্কে তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে গরুর খামার আছে অনেক। কিন্তু এই খামারগুলোর স্থায়িত্বকাল থাকে অল্প। ব্যয় ও উৎপাদনের আশানুরূপ লাভ না থাকায় শেষ পর্যন্ত অনেক খামার বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা কমমূল্যে উন্নত গোখাদ্য সরবরাহ করছি। এটা যদি ১০ কেজি একটি গরুকে খাওয়ায় তাহলে এর দাম মাত্র ১২০ টাকা। আর সে যদি ১০ কেজি ফিড খাওয়ায় এর দাম হচ্ছে ৪০০ টাকা।  

এর আগে ভুট্টা উৎপাদন করতে গিয়ে আরও দু’বার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি; এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। এবার গোখাদ্য হিসেবে ‘ভুট্টা সাইলেজ’ বিক্রি হলে প্রায় দ্বিগুণ লাভ হবে বলে জানান সৌরভ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯ 
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।