সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের গন্ডামারা ও আশপাশের গ্রামে দেখা গেছে ফসলি মাঠগুলোতে শুধুমাত্র সয়াবিনের আবাদ। সয়াবিন কাটার আগে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হাইমচর উপজেলার অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। পান ও সুপারির জন্য অতি পরিচিত উপজেলায় এখন সয়াবিন চাষ হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এ বছর ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ করা হয়েছে। আর এ সয়াবিন আবাদে জড়িত রয়েছেন প্রায় ৮ হাজার কৃষক। পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এ ফসল আবাদ করার জন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি নেই। কারণ সয়াবিন আবাদে সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়, ফলে খরচও কম হয়। তবে আবাদের পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে লোকসানে পড়তে হয় কৃষকদের। আগামী মে মাসের মধ্যে সয়াবিন কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টরে কমপক্ষে ২ মেট্টিক টন সয়াবিন উৎপাদন হবে। স্থানীয়ভাবে সয়াবিনের চাহিদা কম থাকলেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে উৎপাদিত সয়াবিন কিনে নিয়ে যান। উপজেলার গন্ডামারা গ্রামের কৃষক আবু জাফর বাংলানিউজকে বলেন, তিনি প্রতি বছর ১ হেক্টরের বেশি জমিতে সয়াবিন আবাদ করে আসছেন। এ বছর সয়াবিনের গাছগুলো এখন পর্যন্ত খুবই ভাল আছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
একই এলাকার কৃষক মোস্তফা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রায় ১০ একর জমিতে সয়াবিন আবাদ করেছি। আবাদের ক্ষেত্রে আমাদের বড় সমস্যা হলো সেচ। পরিকল্পিতভাবে সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষকদের সয়াবিন আবাদ খুবই লাভজনক হবে। হাইমচর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সয়াবিন অর্থকরী ফসল। খরচ কম হওয়ায় সয়াবিন চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। এ বছর ৫০ জনকে ১ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সয়াবিন আবাদ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমরা সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। একটি পর্যায়ে সয়াবিন আবাদ এ উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসলে রূপান্তর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
আরএ