চলিত বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্য মাত্রার চাইতেও ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বেশি ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়ন ও চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়ন, বিরল উপজেলার তেঘড়ায় দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে শুধুই সোনালী ধান। কিছু কিছু ধান সবুজ থাকলেও আগামী সাতদিনের মধ্যে সেগুলো পেকে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার সিকদারহাট গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে জানান, ধানের তো বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু বাজারে তো ধানের দাম একেবারেই নেই। ধান উৎপাদন করতে গিয়ে যে খরচ হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। যতো উৎপাদন বেশি হোক কিন্তু লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হবে। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ৬০০ টাকা মণ। অথচ ধান রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত আমাদের মণ প্রতি ৭৮০ টাকা করে খরচ পড়েছে। ধানের দাম বেশি না পেলে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ব।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, এ বছর আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় সেচ, রাসায়নিক সার এবং পোকা ও ঘাস নির্মূলে ওষুধ সঠিক সময়ে প্রয়োগের কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ১৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জেলায় ৯৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা হবে। কিছুদিনের মধ্যে চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এছাড়া আগামী ১৮ মে থেকে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এনটি/এমজেএফ