এদিকে গতবছরের তুলনায় এবার আনারসের ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকও। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।
প্রতিদিন খাগড়াছড়ি বাজার, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ির গাড়িটানাসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি আনারস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব আনারস চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়াও জেলা-উপজেলার বাজারগুলোতে হাতের নাগালেই মিলছে রসালো আনারস। সবচেয়ে বেশি আনারসের চাষ হয়েছে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা এবং খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলায়।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ির বেতছড়ি এলাকার আনারসচাষি হিরঞ্জন চাকমা বলেন, এবছর দুই একর জায়গায় ৫০ হাজার আনারস চারা লাগিয়েছি। ফলনও হয়েছে ভালো। বাগান থেকেই সব আনারস পাইকারি দামে বিক্রি করে দিয়েছি। সামনের বছর আরো বড় পরিসরে আনারসের চাষ করবো।
জেলা সদরে আনারস বিক্রি করতে আসা মহালছড়ির লেমুছড়ি এলাকার চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, গত বছর দুই কানি জমিতে ২০ হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছি। সেবার ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তবে এবার লাভ দ্বিগুণ।
কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ে হানিকুইন ও জায়েন্ট কিউ নামের দুই জাতের আনারস চাষ হয়। মূলত মে, জুন, জুলাই- এই তিন মাস ফলন পাওয়া যায়। গেলো বছর খাগড়াছড়িতে ১১ হাজার ৪৮ হেক্টর জায়গায় আনারস আবাদ হয়। যেখান থেকে উৎপাদন হয় ২০ হাজার ৩শ ৮১ মেট্রিক টন আনারস। আর এবছর আনারসের উৎপাদন তার চেয়ে বেশি হবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্ত্তুজ আলী বলেন, এমনিতে পাহাড়ের মাটি অনেক উর্বর। তবে আবহাওয়ার কারণে কখনো ফলন ভালো হয় কখনো খারাপ। তবে চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এডি/এএ