জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের হিসেবে এবার জেলায় আউশ কচুর আবাদ হয়েছে এক হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া এলাকার কচু চাষি ইরফান আলী ও সাহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবছর আট বিঘা জমিতে আউশ কচুর চাষ করেছি আমরা।
গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামের কচু চাষি সাহাব্বত আলী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাজারে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দরে কচু বিক্রি হচ্ছে। জমি থেকেই ফড়িয়ারা (পাইকার ব্যবসায়ী) ভালো দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে কচু।
সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের কচু ব্যবসায়ী রহমত আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই কচুর ব্যবসা করে থাকি। এ জেলার কচু সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার বাজারে এর চাহিদা বেশ। ফলে ব্যবসায়ীরাও চাষিদের জমি থেকে কচু কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সবজি উদ্বৃত্ত জেলা মেহেরপুরে প্রতি বছরই চাষিরা আউশ জাতের কচুর চাষ করে থাকেন। কৃষকরা ধান চাষে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ভালো বীজের চাষ ও সঠিকভাবে পরিচর্যা করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করাসহ মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসআরএস