সরকারিভাবে পাট না কেনার কারণে কম দামেই স্থানীয় পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট তিন হাজার ৫৬৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
টংগিবাড়ী উপজেলার বলই গ্রামের চাষি আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ৪০ মণ পাটের মধ্যে মাত্র চার মণ পাট মণপ্রতি এক হাজার ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছিলাম। এখন পাইকার ব্যবসায়ীরা মণপ্রতি এক হাজার ৫০০ টাকা করে বলছে। তাই পাট এখনও বিক্রি করি নাই। প্রতি মণ পাট চাষে যে টাকা খরচ হয়েছে, তাতে এক হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করে কোনো লাভ নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. শফিকুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, প্রতি মণ পাটে কৃষকের খরচ পড়েছে প্রায় এক হাজার ৫০০ টাকা। এখন পাটের যে দাম, তাতে কৃষকের লাভ থাকছে না। দেশি সিবি-১, সিবি-৩, তোষা-৯৮ ও ৯৭ জাতের পাট এ জেলায় চাষ হয়ে থাকে। চাষিদের কাছ থেকে সরকারিভাবে পাট কেনার কোনো ব্যবস্থা নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ৪৮৭ হেক্টর ও তোষা পাট আবাদ হয়েছে ২১ হেক্টর জমিতে।
এছাড়া টংগিবাড়ী উপজেলায় দেশি পাট ৪৭৫ হেক্টর ও তোষা পাট ২৬০ হেক্টর, শ্রীনগর উপজেলায় দেশি পাট ৪০ হেক্টর ও তোষা পাট ২৫ হেক্টর, সিরাজদিখান উপজেলায় দেশি পাট ১৫০ হেক্টর ও তোষা পাট এক হাজার ৫৮০ হেক্টর, লৌহজং উপজেলায় দেশি পাট ২৫০ হেক্টর ও তোষা পাট ৭০ হেক্টর এবং গজারিয়া উপজেলায় দেশি পাট ২০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএ/