উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার প্রান্তিক জনপদে কৃষক আবুল কালাম একজন সফল কৃষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শিম, লাউ, কপি, চিচিঙ্গা, করলা চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।
প্রান্তিক জনপদ সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রাম। যেখানে কয়েক বছর আগেও রাস্তাঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখন এ অঞ্চলে পিচঢালাই রাস্তা। গ্রামে মাঠের পর মাঠ জুড়ে আমনের পাকা ধানের সমারোহ। কিন্তু আমনের পাকা ধানের মধ্যে সবুজের সমারোহে মুগ্ধ না হওয়ার কোনো উপায় নেই। এমন চিত্র দেখেই মোটরসাইকেল থমকে গেল। মাঠজুড়ে শিম, কপি ও লাউয়ের গাছ। দুই একর জমিতে বারো মাসই কোনো না কোনো ফসল ফলান ওই চাষি।
কথা হয় সফল কৃষক আবুল কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, পড়ালেখা করতে পারিনি তেমন। বাপ-দাদায় কৃষক। পূর্ব পুরুষের পেশা ধরে রাখতেই হলো আমার। আমি বুঝ হওয়ার পর থেকেই কৃষি কাজই করি। দুই একর জমিতে আমি সবজি চাষ করি। শুধু চলতি মৌসুমে মাত্র ৪০দিনে ৩ কাঠা জমিতে কপি চাষ করে ৪৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। তাতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, দুই একর জমিতে আমার ৪টি কৃষি খামার রয়েছে। যা দিয়ে আমি প্রতি বছর ২ লাখ টাকার বেশি আয় করতে পারি। আমার কাছে অনেকেই পরামর্শ নিতে আসেন। তাছাড়া কৃষি অফিসসহ এনজিওদেরও আমি সহযোগিতা বা পরামর্শ পেয়ে থাকি।
পাথরঘাটা পৌর শহরের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সিরাজুল হক মোল্লা বলেন, আবুল কালাম একজন সফল কৃষক। ছোট বেলা থেকেই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, তারপরে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক। অনেক কষ্ট করে তিনি কৃষি কাজ করছেন। তিনি একজন সফল কৃষক এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল বলেন, আবুল কালাম একজন সফল চাষি। আমরা সব সময়ই তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া তিনি যেভাবে সবজি চাষ করছেন তার মতো কৃষক নতুন নতুন তৈরি হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসএইচ