ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

করোনার প্রভাবে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
করোনার প্রভাবে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি টমেটো বাছাই করছেন ব্যবসায়ী। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী:  করোনার প্রভাবে নীলফামারী জেলায় পানির দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। মাত্র ৫০ টাকা মণে মিলছে লম্বা বেগুন আর ২০০ টাকায় এক মণ টমেটো। বৃষ্টির কারণে পচন ধরায় ও ক্রেতা না থাকায় করলা, পটল, ঝিঙ্গে, শসা ও শাক-সবজির ক্ষেত গরু-ছাগল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন জেলার চাষিরা।

উত্তরের নীলফামারী জেলার শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ছিল এসবের বাজার।

কিন্ত লকডাউনে ও পরিবহন সঙ্কটে পাইকাররা পণ্য কিনে পাঠাতে পারছেন না। কৃষকরা উৎপাদিত সবজি পাইকারি বাজারে এনেও বিক্রি হচ্ছে না। কোথাও সবজি তোলার খরচও উঠছে না। ফলে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক-সবজি।

জেলার সবচেয়ে বড় সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে অবস্থিত পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ২০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, শসা ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ৩ টাকা কেজি খুচরা বাজারে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজিতে। একটি মিষ্টি কুমড়া মাত্র ১৫ টাকা। সবজি। নীলফামারী সংগলশী ইউনিয়নের সবজিচাষি বেলাল হোসেন, আজমত আলী জানান, এবারে অনুকূল পরিবেশ থাকায় শাক-সবজির খুব ভালো হয়েছে। কিন্ত করোনার কারণে কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া নাহলে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানান তারা।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, নীলফামারী জেলার অর্থকরী সবজি হচ্ছে বেগুন, করোলা, টমেটো, চাল কুমড়া ও কাঁচা মরিচ। এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪০২ হেক্টর জমি। সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ হাজার ৩ শত ৮০ মেট্রিক টন। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু করোনা চাষিদের ভাগ্য উল্ট-পাল্ট করে দিল। লাভ তো দূরের কথা, জমিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাজারে এনে দাম না পেয়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।