ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

পাটশাকের চাহিদা বেড়েছে গ্রামাঞ্চলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২০
পাটশাকের চাহিদা বেড়েছে গ্রামাঞ্চলে

মাদারীপুর: পাটের আবাদ শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। সোনালি আঁশ ফলনে মাদারীপুর জেলার চাষিদের মধ্যে আগ্রহও রয়েছে বেশ। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের জমিতে বড় হতে শুরু করেছে পাট গাছ। পরিণত হলে আঁশ ছাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশা পাট চাষিদের। তবে কোনো কোনো স্থানে শুধুমাত্র শাক হিসেবে বাজারে বিক্রির জন্যেও পাটের আবাদ করেন চাষিরা।  

এ সময়ে স্থানীয় বাজারগুলোতে পাটশাকের চাহিদা রয়েছে বেশ। অন্যান্য শাকের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে গ্রামাঞ্চলেও পাটশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে শুধু শাকের জন্য বাড়ছে পাটের চাষও।

জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে পাটশাকের ব্যাপক চাহিদা থাকে। গ্রামের হাট বাজারগুলোতে একেক আঁটি (কতগুলো শাক একত্র করে বাঁধা) পাটশাক ৫ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি করেন চাষিরা।  

অনেক সব্জি চাষিও শুধু পাটশাক বিক্রির জন্য স্বল্প জায়গার মধ্যে পাটের আবাদ করেন এই মৌসুমে।  

তাছাড়া বাজারের সব্জি ব্যবসায়ীদের কাছেও পাইকারি দামে প্রতিদিন সকালে চাষিরা পাটশাক বিক্রি করে থাকেন।  

জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ও সূর্যনগর সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, শুধু শাক বিক্রির জন্য সাধারণত যে পাট চাষ হয় তা মৌসুম শুরুর কিছুটা আগে বপন করা হয়। দেখা গেছে মূল পাট চাষিরা যে সময় ক্ষেতে পাটের বীজ বপন করেন ঠিক সেই সময়ই বাজারে বিক্রির জন্য পাটশাক উপযোগী হয়। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পরিমাণ গাছ হলে অথবা তার চেয়ে কিছুটা ছোট থাকতেই বাজারে পাটশাক বিক্রি শুরু হয়।

তারা আরো জানান, মূলত শাক বিক্রির জন্য চাষ করা পাট ক্ষেতের তেমন যত্নের দরকার হয় না। স্বল্প পরিমাণ জমিতে এ পাট চাষ করা হয়। শাক বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর অন্য কোনো সব্জি লাগানো হয় ওই ক্ষেতে।

নিয়মিত পাটের আবাদ করেন এমন এক কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বাজারে পাট শাকের চাহিদা রয়েছে। আমরা যারা নিয়মিত পাটের আবাদ করি তারা শাক বিক্রি খুব একটা করি না। চারা কিছুটা বড় হলে ঘন গাছগুলো উঠিয়ে ফেলি (পাটের বাছ দেয়া)। তখন অনেক সময় বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মৌসুমের শুরুর দিকে ১০ টাকা আঁটি দামে বিক্রি হয় পাটশাক।

বাজারের নিয়মিত সব্জি বিক্রেতা সোবাহান মিয়া বলেন, এই সিজনে পাটশাক অনেক বিক্রি হয়। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে বিক্রি করি। আগে খুব একটা বিক্রি হতো না। তবে কয়েক বছর ধরে চাহিদা বেড়েছে। অন্যান্য শাক-সব্জির মতোই পাটশাক প্রচুর বিক্রি করি।

অন্যান্য শাক-সব্জির পাশাপাশি পাটশাকও সুস্বাদু। এর পুষ্টি গুনাগুনও রয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু পাটশাক রান্না ছাড়াও ডালের সঙ্গে দিয়েও রান্না গ্রামাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় বলে জানান স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।