বুধবার (২৭ মে) বিকেল ৫টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-আর-রশিদ বাংলানিউজকে জানান, এমন পরিস্থিতি আগামী তিনদিন থাকতে পারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ করে গত রাতে কুষ্টিয়ায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে উঠতি বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। একই সঙ্গে ঝড়ের কারণে অধিকাংশ ফসল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর ফলে ধানে চারা হয়ে যায়। ওই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতে গতরাতে আবারো ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পুনরায় ক্ষতির সম্মুখীন হলো কৃষকরা। ফলে নতুন করে সংকটে পতিত হলো কৃষক।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) রঞ্জন কুমার প্রামাণিক বাংলানিউজকে জানান, আম্পানের পাশাপাশি এই বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ধান কর্তনের অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে খোকসা ও কুমারখালী উপজেলায় বোরো ধান নাবী হওয়ায় এখনো শতকরা ১৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়নি। এই বৃষ্টিতে কৃষকরা ধান কাটতে সমস্যায় পড়েছে, ধান মাড়াই, ঝাড়াই এ অসুবিধা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই বৃষ্টি অব্যহত থাকলে সবজি ফসলের পচন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, রোগের প্রদুর্ভাব বেশি হবে সেই সঙ্গে কৃষকরা দাম কম পাবে। তবে এই বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতি হলেও আউশ ধানের জন্য উপকার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এনটি