তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমিষ ও পুষ্টির জন্য বিশ্বব্যাপী মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা হবে। সেক্ষেত্রে মিশর বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উৎপাদন এবং মৎস্য জাতীয় পণ্যের উন্নয়নে সহায়তা দিতে আগ্রহী।
শুক্রবার (২৯ মে) রাজধানীর বেইলী রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ শামসেলদিন এ আগ্রহের কথা জানান।
মিশরের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিশর ভাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র। দুদেশের মধ্যে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত নানা মিল রয়েছে। উভয় দেশের বন্ধুত্ব ও পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় মিশর। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে মিশরের অভিজ্ঞতা, কারিগরি সহায়তা ও এ খাতে রোগ প্রতিরোধে মিশরীয় ওষুধ ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। মিশর মৎস্য খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। সে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশও গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে গবাদিপশুর সংক্রামক ব্যাধি বন্ধ করতে বিশ্বমানের ওষুধ ও ভ্যাকসিন মিশর থেকে বাংলাদেশে নিতে পারে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মিশরের এই আগ্রহকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এছাড়াও উভয় দেশে সংশ্লিষ্ট খাতে আরও কী কী সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা যায় তা খতিয়ে দেখতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি