কৃষকরা জানায়, সময়মত আম বাজারজাত করতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে।
জানা যায়, পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় ফলন হয় আমের ফলন ভালো হয়।
খাগড়াছড়ির বাগান মালিক এবং ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু বাংলানিউজকে বলেন, আমের ফলন ভালো হলেও বাজারজাত নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তার উপর করোনার কারণে বিগত বছরের মতো ভালে দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। চাষিদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর খাগড়াছড়িতে ৩ হাজার ২৪৪ হেক্টর জায়গাজুড়ে প্রায় ২৯ হাজার ১৯৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা ১৯৬ মেট্রিক টন বেশি।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মতুর্জ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি বাইরে থেকে যারা আম কিনতে খাগড়াছড়ি আসবে তারা যেন নির্বিঘ্নে আম কিনতে পারেন সেটি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখব। এছাড়া করোনার কারণে যদি আম বিক্রি করতে না পারে সেক্ষেত্রে কৃষি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের প্রত্যাশা কৃষক ও আম চাষিদের বাঁচাতে সরকার বিশেষ বিবেচনায় পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এডি/এনটি