ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

রপ্তানি বাড়াতে পূর্বাচলে প্যাক হাউস ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
রপ্তানি বাড়াতে পূর্বাচলে প্যাক হাউস ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব 

ঢাকা: কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক প্যাক হাউস স্থাপনের জন্য পূর্বাচলে দুই একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (হর্টেক্স) আয়োজিত কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়তে ‘আধুনিক প্যাক হাউজ সুবিধা এবং অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি নির্মাণ বিষয়ে পরামর্শ কর্মশালা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এই প্যাক হাউস নির্মাণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ ও প্রকল্প নেওয়া হবে। এটি নির্মিত হলে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে এদেশের ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি বহুগুণ বাড়বে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষি বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকরণের দিকে যাচ্ছে। কৃষি অবশ্যই আধুনিক হবে। সেজন্য একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে হবে। এটির ক্ষেত্রে অন্তরায় হলো প্যাকেজিং এবং নিরাপদ ফুড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেটের অভাব। পূর্বাচলে এই প্যাক হাউস ও ল্যাব স্থাপিত হলে এসব অন্তরায় দূর হবে। এছাড়া, বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় পণ্য পরিবহন হবে সহজতর।  

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব  বিভাগের প্রফেসর ড. মোহা. কামরুল হাছান। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, গবেষক, ফল ও সবজি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ভ্যালু চেইন এক্সপার্ট, ল্যাবরেটরি এক্সপার্ট/বিজ্ঞানী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস, জার্মানি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, মালয়েশিয়া, হংকং, শ্রীলংকাসহ প্রায় ৪৩টি দেশে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানি হয়।  

এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। সারা পৃথিবীজুড়ে এ বাজারের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তাজা শাকসবজি ও ফলমূল এদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলুও রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।