ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ভোলা: ভোলায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষকরা।

কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে এখন পাকা ধানের সমারোহ। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা।

বাজারে এবার ধানের দাম ভালো। তাই বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান, কয়েক দফা প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেকেই ফলন নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। ফসলের ক্ষেতে রোগ কিংবা পোকার কোনো আক্রমণও ছিল না। তাই একদিকে যেমন উৎপাদন ভালো হয়েছে, অন্যদিকে বাজার দাম নিয়েও আগাম খুশি তারা।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে আগামীতে ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।

ধান চাষি ওমর আলী বাংলানিউজকে বলেন, ধান পেকে গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাটবো। এবার ফলন অনেক ভালোর দিকে। তাই একর প্রতি ২০-২৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে আশা রাখছি।

ভেলুমিয়া এলাকার ধান চাষি মো. খলিল বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় ধানের ফলন অনেক ভালো। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবো। তবে কিছুটা ধানে পোকা আক্রমণ করলেও তাতে তেমন ক্ষতি হবে না। কারণ এবার ধানের ফলন হয়েছে ভালো, বাজারে দামও অনেক ভালো। আশা করি, লাভবান হতে পারবো।

ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের কৃষক শাজাহান বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, ৫ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। এ বছর ধানের ফলন অনেক ভালো। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধানের মাড়াই কাজ শুরু করবো। বাজার দাম ভালো পেলে, বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবো।  

এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রাসেদ হাসনাত বাংলানিউজকে বলেন, দুই দফায় প্রকৃতিক দুর্যোগে এবার ফলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন উৎপাদন হচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের আমন আবাদে আরও আগ্রহ বেড়ে গেছে।

জেলা কৃষি অফিস বাংলানিউজকে জানায়, এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ হেক্টর। তার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর। যা থেকে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।