ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

চকরিয়ায় সচল ২টি রাবারড্যাম, দুঃখ ঘুচলো ২০ হাজার কৃষকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
চকরিয়ায় সচল ২টি রাবারড্যাম, দুঃখ ঘুচলো ২০ হাজার কৃষকের

কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা ও বাঘগুজারা পয়েন্টে নির্মিত দুটি রাবারড্যাম চলতি মৌসুমে সচল হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় ২৬ হাজার একর জমি শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের আওতায় আসবে।

এতে দুঃখ ঘুচবে প্রায় ২০ হাজার কৃষকের।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চকরিয়া উপজেলাকে সবুজ বিপ্লবের আওতায় আনতে সর্বপ্রথম মাতামুহুরী নদীর দুটি পয়েন্টে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্রসবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসন প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে নদীর বাঘগুজারা ও রামপুর পালাকাটা পয়েন্টে অস্থায়ী মাটির বাঁধ তৈরি করে মিঠাপানি আটকিয়ে চকরিয়া (পেকুয়াসহ) উপজেলার প্রায় ২৬ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করে আসছিল। এভাবেই চলে ২০০৭ সাল পর্যন্ত।

প্রতিবছর অস্থায়ী ক্রসবাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২০০৯ সালে মাতামুহুরীর বাঘগুজারা ও রামপুর পালাকাটা পয়েন্টে স্থায়ীভাবে রাবারড্যাম স্থাপনের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে বছর মাতামুহুরী সেচ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি রাবারড্যাম নির্মাণ করা হয়।

পালাকাটা গ্রামের কৃষক নবী হোসেন জানান, এই এলাকার বিস্তৃর্ণ জমির চাষাবাদ হওয়া না হওয়া এই রাবার ড্যামের উপর নির্ভর করে। এখন রাবারড্যামটি সচল হওয়ায় দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি।

একই এলাকার আলী আকবর বলেন, এক সময় শুস্ক মৌসুমে এসব এলাকার বিস্তৃর্ণ জমি অনাবাদি পড়ে থাকতো। এখন রাবারড্যাম হওয়ার কারণে সেই সমস্যা কেটে গেছে।

চকরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাছিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পালাকাটা ও বাঘগুজরা এলাকার প্রায় ২৬ হাজার একর জমির চাষাবাদ নির্ভর করে এ দুটি রাবারড্যামের উপর। কিন্তু বিভিন্ন সময় রাবারড্যামে নানা সমস্যা থাকে। চাষাবাদের আগে রাবারড্যাম দুটি চালু করা সম্ভব হওয়ায় কৃষকদের শংকা কেটে গেছে। সেচ পাম্পের সাহায্যে দুই উপজেলার ২৬ হাজার একর জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষকরা।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, রাবারড্যাম দুটি তৈরীর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নানা ত্রুটি দেখা দেয়। এ বছর মৌসুমের আগেই দুটি রাবারড্যাম সচল করা হয়েছে। এতে কৃষকদের পানির সমস্যা আর থাকছেনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
এসবি/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।