ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বেশি লাভ, বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা

জুলফিকার আলী কানন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
বেশি লাভ, বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা

মেহেরপুর: স্বল্প খরচ, অল্প পরিশ্রমে বীজ উৎপাদনে বেশি লাভ। ফলে মেহেরপুরের কৃষকদের কাছে দিন দিন সবজি বীজের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরকারি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও কয়েকটি বেসরকারি সবজি বীজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ভুটাং শাক, অলতাপাটি, দেশী জাতীয় আরএন শাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির বীজ উৎপাদন করছেন মেহেরপুর জেলার কয়েক হাজার চাষি। অনেকে আবার নিজ উদ্যোগে চাষ করছেন।

বীজ উৎপাদন করে সবজি অনুযায়ী একর প্রতি ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ পান কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি মৌসুমে ৪০০-৫০০ হেক্টর জমিতে বীজের চাষ হচ্ছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর, কুতুবপুর, উজুলপুর, ঝাউবাড়িয়া, বেলতলাপাড়া, কালিগাংনী, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, ভাটপাড়া, নওপাড়া, মাইলমারী, ধলা, পুড়াপাড়া, গাঁড়াডোবসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তির্ণ মাঠে উৎপাদন হচ্ছে বীজ।  



বিএডিসি, অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই), লাল তীর বীজ কোম্পানি, ব্র্যাক বীজ কোম্পানি, মেটাল, কৃষিবিদ, ইস্পাহানি বীজ কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে জেলায় প্রায় দেড় হাজার জন কৃষক সরাসরি বীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় এ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদিত বীজ কিনে নেয় কোম্পানিগুলো। তবে চাষিরা এখন কোম্পানিগুলোর বাইরে খোলা বাজারেও বিক্রি করে থাকেন তাদের বীজ।

সাহারবাটি গ্রামের বীজ চাষি গোলাম কিবরিয়া, হুদা, আব্দুল কুদ্দুছ, লাভলু হোসেন জানান, ধান, পাট, সরিষার আবাদ করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। তাই বিভিন্ন সবজির বীজের আবাদ করে লাভবান হচ্ছি। বিভিন্ন চাষের তুলনায় বীজ চাষে লাভ বেশি। এক বিঘা লাল শাক করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা। আর বীজ উৎপাদন হয় ৭-৮ মণ। বিক্রি হয় ২২শ থেকে ২৩শ টাকা মণ। পুঁই শাকে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা, বীজ বিক্রি হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।



বিএডিসি আমঝুপি বীজ খামারের উপ-পরিচালক গোলক নাথ বণিক বলেন, কৃষি নির্ভর জেলা মেহেরপুরের চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজের চাষ। আমঝুপি বীজ উৎপাদন খামারে চলতি রবি মৌসুমে ৬ একর জমিতে পালং শাক, ৪ একর জমিতে লাল শাক, ৬ একর জমিতে কলমী শাক, আড়াই একর শিম, ৪ একর জমিতে বেগুন, সাড়ে ৪ একর জমিতে টমেটো, ১ একর জমিতে মটরসুটি ও হাফ একর জমিতে মিস্টি কুমড়ার বীজ চাষ রয়েছে।  

এছাড়া এলাকার বিভিন্ন চাষিদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক বীজ উৎপাদনকারী রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।