ব্রাহ্মণবাড়িয়া: গত তিনদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রায় চার ফুট বেড়েছে।
এতে উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধান, পাট খেত ও মৌসুমি শাক-সবজি তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি চাপে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের একটি সেতু ভেঙে গেছে। শনিবার রাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে চানপাড়ার সঙ্গে উপজেলা সদরসহ বুড়িশ্বর ইউনিয়নের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নাসিরনগর উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর বোনা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভলাকুটে এক হাজার হেক্টর, চাতলপাড়ে ৭৫ হেক্টর, কুন্ডায় ১২শ’ হেক্টর, নাসিরনগর এক হাজার দুইশ হেক্টর, বুড়িশ্বরে এক হাজার ৪৮০ হেক্টর ধরমন্ডল এক হাজার হেক্টর ও ফান্দাউকে এক হাজার ৪১৫ হেক্টর বোনা আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
তবে কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, কৃষি অফিসের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কৃষি অফিস বলছে, দুই হাজার হেক্টর ধানি জমি পানির নিচে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, উপজেলার অধিকাংশ জমিই পানির নিচে।
ধরমণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বলেন, আমার এলাকায় প্রায় এক হাজার হেক্টর বোনা আমন ধান আছে। যার সবই পানিতে ডুবে আছে। এখনো কৃষি অফিসের কোনো লোকের দেখা মেলেনি।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক বলেন, উজানের পানির কারণে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির বোনা আমন তলিয়ে গেছে। দুই/তিনদিনের মধ্যে পানি কমে গেলে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বার হোসেন বলেন, আমরা বন্যা মোকাবিলার জন্য প্রস্তত রয়েছি। কেউই আমাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসআই