কুমিল্লা: ইঁদুর দ্রুত বংশ বিস্তারকারী প্রাণী। এক জোড়া ইঁদুর অনুকূল পরিবেশ পেলে বছরে ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে।
একটি ইঁদুর প্রতিদিন তার শরীরের ওজনের ১০ গুণ পর্যন্ত খাবার নষ্ট করে। তার গর্তে ২০ কেজি পর্যন্ত ফসল লুকিয়ে রাখতে পারে। ইঁদুর ফসল ও সম্পদের অনেক ক্ষতি করে। প্রায় ৬০ ধরনের রোগ-জীবাণু বহন ও বিস্তার করে।
ইঁদুরের ক্ষতিকর ভূমিকার কথা বিবেচনা করে ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা জেলা ও আদর্শ সদর উপজেলা কুমিল্লার উদ্যোগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন, সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ডিএই কুমিল্লার উপ-পরিচালকের কার্যালয় প্রশিক্ষণ হলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এবার অঞ্চলপর্যায়ে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী তিনজন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, তিনজন কৃষক, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি উপজেলাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে।
সভাপতিত্ব করেন ডিএই কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ব্রি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নিগার হায়দার খান, কৃষি তথ্য সর্ভিস কুমিল্লার আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মো. মুশিউল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহনাজ রহমান। কারিগরি সেশন পরিচালনা করেন ডিএই কুমিল্লার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. সিরাজ উদ্দিন হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এসআরএস