সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় আগামী ২০ ডিসেম্বর শুরু হবে দুই দিনব্যাপী ‘আবহমান বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব-১৪২১’।
বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নেবে দুই বাংলার শতাধিক শিল্পী।
উৎসবটি উদযাপন উপলক্ষে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল রুমে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিশ্বমৈত্রী সাংস্কৃতিক পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ২ দিনব্যাপী এই সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন হবে।
উদ্বোধনী দিনে ‘আবহমান বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব-১৪২১’ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচনসহ দলীয় ও একক নৃত্য, গীতি নৃত্যালেখ্য, সমবেত ও একক সংগীত ও দলীয় আবৃত্তির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মধ্যস্থ হবে।
এছাড়া ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। দ্বিতীয় দিনেও সমবেত সংগীত, বৃন্দ আবৃত্তি, দলীয় ও একক নৃত্যের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হবে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী শিল্পীদের এক সুঁতোয় গাথার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২৫ মে ভারতের কলকাতায় বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরের মাসেই অর্থাৎ ২০২০ সালের জুনে শুরু হয় বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার কার্যক্রম। বর্তমানে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, সুইডেন, ভারত, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
২০২২ সালের ৬ মে ভারতের নদীয়ার কল্যানিতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাতক্ষীরার ২৫ জনের একটি শিল্পী দলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা অংশ নেন। এরপর বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে ১১ জুন খুলনা ও ১২ জুন ঢাকাতে সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ‘আবহমান বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব-১৪২১’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ব্যাঙ্গালুর, নদীয়া, ত্রিপুরা ও কলকাতার মোট ৫২ জন সংগীত, নাটক, বাচিক ও নৃত্য শিল্পী, রাজধানী ঢাকার ৩০ জন শিল্পী ও খুলনার ৩০ জন শিল্পীসহ সাতক্ষীরার শিল্পীরা অংশ নেবেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন, বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী এম আর ওয়াসেক ও ফারহানা চৌধুরী বেবী, ভারতের চিত্র পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, অভিনেত্রী ও সংগঠক অনুশীলক বসু, নৃত্যশিল্পী অনিক বোস, সংগীত শিল্পী দেবযানী মালা, নৃত্যশিল্পী স্বাতী বানার্জী দাস, বাচিক শিল্পী আশিস সরকার, বাংলাদেশের সুরকার ও গীতিকার প্রণব মুজমদার, ভারতের বাচিক শিল্পী অলক দাস, সংগঠক বল রাম মাঝি প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ দুই দিনের এই উৎসবে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামসহ সাতক্ষীরা, খুলনা, ঢাকা ও ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা পারভীন পান্না, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আখতারুজ্জামান কাজল, সদস্য সমাইয়া পারভীন ঝরা ও তাহমিনা খাতুন বেলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এএটি