ঢাকা: ভারতের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ভূতের গল্পের বই ‘পঞ্চাশটি ভূতের গল্প’। লেখকের বিভিন্ন সময়ে লেখা ভৌতিক ও রহস্যময় গল্প, যেগুলো সমাদৃত হয়েছে এবং পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে; সেই গল্পগুলোকে একত্রিত করেই এ নতুন বইটি প্রকাশ করেছে আনন্দ পাবলিশার্স।
ইমদাদুল হক মিলন লেখালেখির শুরু থেকেই ছোট-বড় সবার জন্যই সমানতালে লিখে চলেছেন। তার ভৌতিক গল্পগুলো দুই বাংলার পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। ‘ভূত এসে দেখা করে গেল’, ‘নিমপাখি’, ‘খরগোশপুর’সহ এরকম ৫০টি গল্প নিয়ে এ বই, যার প্রতিটি গল্পই গা শিউরে ওঠার মতো।
ভূত আছে কি নেই সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার অবকাশ নেই কোনো গল্পে। তারপরেও ভূত নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হবে পাঠকের মনে। যেমন ‘বাড়িটায় কে যেন থাকে’ গল্পটি। এ গল্প পড়ে পাঠক চিন্তিত হবেন, তাহলে ব্যাপারটা আসলে কী? বাড়িটায় সত্যি কি কেউ থাকে? ঠিক এমনি সব অনুভূতির মাধ্যমেই এই বই সব বয়সী পাঠককে আকর্ষণ করবে বলে আশা করা যায়।
ভৌতিক গল্প বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্রামীণ জীবনের আড়ালে বনে জঙ্গলের নানা রহস্যময় কীর্তি কলাপ, সাদা কাপড়ে মোড়ানো ভূত কিংবা পা ঝুলিয়ে বসে থাকা পেত্নীর অবয়ব। ‘পঞ্চাশটি ভূতের গল্প’ নামের এ বইয়ে যেমন গ্রামীণ ভূতের গল্প রয়েছে, তেমনি রয়েছে নগরজীবনের ভূতের উপদ্রব বা রহস্য। যারা আগ্রহ নিয়ে ভৌতিক রহস্য রোমাঞ্চ গল্প পড়েন তাদের জন্য একটা মজার ব্যাপার রয়েছে।
আর ‘পঞ্চাশটি ভূতের গল্প’ নামের এ বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়ানো রয়েছে রহস্য, অক্ষরে অক্ষরে শিহরণ জাগাবে বলে মনে করছে প্রকাশনা সংস্থা।
চলতি বছরের এপ্রিলে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার রুপি।
এর আগে একই প্রকাশনা সংস্থা থেকে লেখকের দেশভাগের গল্প, নূরজাহান, নুরহাজান (অখণ্ড), পঞ্চাশটি গল্প নামে চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
ইমদাদুল হক মিলন ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত ‘নূরজাহান’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে এপার-ওপার দুই বাংলায়ই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
এ লেখকের সাহিত্যকর্ম বিস্তৃত রয়েছে গল্প-নাটকের শাখা-প্রশাখায়। এরই মধ্যে তার লেখা দুই শতাধিক গ্রন্থ বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তার শেলফে জমা পড়েছে অগণিত পদক-পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, কাজী মাহাবুবুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার।
ভারতের দিল্লি থেকে তিনি পেয়েছেন আইআইপিএম সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার, যার আর্থিক মূল্য ভারতের অন্যান্য সাহিত্য পুরস্কারের তুলনায় সর্বোচ্চ। এছাড়া পেয়েছেন মাদার তেরেসা পদক, অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, জাপান রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড ও চিত্তরঞ্জন দাস স্বর্ণপদক।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এইচএমএস/