হিমঋতু
এই সেই হিমঋতু।
অনেক শাদা ও শূন্যতার ভেতর
আমি কাঁপছি,
আমি বর্বরের মতো প’ড়ে আছি হলুদ পোশাক।
দূরে একটা বাড়ি। অনেক জারুল গাছ,
একটা ছোট নদী
মায়া ও মুগ্ধতার সাঁকো পার হ’য়ে
চ’লে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে
একটু আগুন দেবে, সুধা?
জারুল আর কৃষ্ণচূড়া
এ-রকম প্রসন্ন সকাল আমি কখনো দেখিনি।
কালিগঙ্গা নদীর তীরে, আজ এতো ক্যানো ফুটে আছে
বেগুনি জারুল, লাল কৃষ্ণচূড়া!
পৃথিবী-পুত্রের সাথে দূরতম সম্পর্কের এই সকাল
তোমার মুখের মতো; সুধা
তুমি একা নও। নিঃসঙ্গ নও।
দ্যাখো, ফুটে আছে জারুল আর কৃষ্ণচূড়া
জ্বরতপ্ত
একটু একটু ক’রে গ’লে যাচ্ছি; সুধা
গনগনে রোদের ভেতর, দ্যাখো, ঝলসে যাওয়া
পাখির ডানায়, য্যানো আমি আহত কিশোর
লিখতেছি হৃদয় দীর্ণ করা স্বর;
হে আমার প্রাচীন প্রেমিকা, উত্তরের হাওয়ার সাথে
এখনো কি মিতালি তোমার?
একটু একটু ক’রে হৃদয় গ’লে যাচ্ছে। জেনো তবু,
পরবর্তী প্রেমিক এসে তোমাকে সমুদ্র দেখাবে
সহমরণের প্রস্তাবনা
চলো, মর্গে শুয়ে থাকি।
একটি দিন মৃত্যুর অভিনয় করি।
ওই তো তেতো প্রৌঢ় নিমগাছ।
কী সুন্দর ছিমছাম রাজবাড়ি মর্গটাকে দ্যাখো, সুধা।
দ্যাখো, হেঁটে যাচ্ছে প্রিয়ব্রত ডোম
চলো, ম’রে যাই। প্রিয়ব্রত আমাদের
ফেঁড়ে-কেটে সেলাই করুক। আর, মৃত্যুর যন্ত্রণায়
আমরা একসাথে ছটফট করি
গ্রাসরুট ক্যাফে
এক কোটি বছর পর দেখা হ’লে, সুধা,
গ্রাসরুটে বসব আমরা। কফিতে চুমুক দেব
গল্প করব আর পরস্পরের দিকে চেয়ে রবো দীর্ঘ সময়,
আমরা দেখব, আমাদের চোখের ভেতর
সমুদ্র, নোনাজল, ঢেউ,
সমুদ্রে, নোনাজলে, ঢেউয়ে, আমরা বেদনা ভাসিয়ে দেব
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫