ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১৫)

ধারাবাহিক রচনা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
ঔপনিবেশিক ভারতের বিলাতি নারীরা | আদনান সৈয়দ (পর্ব ১৫)

পর্ব ১৪ পড়তে ক্লিক করুন


বিলাতি নারীর ঘরবাড়ি |
থায় বলে বাড়ির সাথে নাড়ির টান। বিলেত থেকে হাজার মাইল দূরে ভারতের মাটিতে নোঙর ফেললেও বিলাতি নারীরা মনের পর্দা থেকে বিলেতকে কখনোই মুছে ফেলতে পারেননি।

আর তা সম্ভবও ছিল না। বিত্তবানরা কখনোই ভারতে এসে বসবাসের কথা ভাবতেন না। যারা ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত, গরীব এবং ক্ষমতালোভী তারাই জীবনের চাকা পরিবর্তন করতে ভারতে এসেছিলেন। বিলাতি নারীদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। সুদূর বিলেত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত ভ্রমণ কি এতই সহজ? তারপরও যারা জীবনের সেই ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন তা শুধুমাত্র অনন্যোপায় হয়েই। জীবনের নতুন একটি দিক উন্মোচন তো বটেই আর সেই সাথে রয়েছে নতুন এক কঠিন জীবনের হাতছানি।

আঠার শতকের বিলাতিদের জীবনযাত্রার দিকে একটু চোখ রাখা যাক। শিল্প বিপ্লবের ঢেউ তখন দেশটির সর্বত্র ছাপিয়ে উঠেছে। মানুষের চোখে মুখে তখন অর্থ আর প্রতিপত্তির উত্তাল প্রতিযোগিতা। নতুন জীবনের আশায় মানুষ তখন গ্রাম আর উপশহর থেকে শহরের খোঁজে ঘুরছে। ১৭১২ সালে থমাস নিউকমেন নামের এক বিলাতি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন বানিয়ে রীতিমতো বিখ্যাত। পরবর্তীতে ১৭৬৯ সালে সেই ইঞ্জিনের আরো আধুনিকায়ন করলেন জেমস ওয়াট। ১৭৮৫ সালে সেই ইঞ্জিনকে ততোধিক আধুনিক করে তুলা বানানোর মেশিনে পরিণত করা হলো। শুরু হলো মিল কারখানা আর কাপড় উৎপাদনের সরব বিপ্লব। ধীরে ধীরে মেশিন আর কলকব্জা হয়ে গেল বিলাতি জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। এদিকে রাজনৈতিকভাবেও বিলেত তখন তুঙ্গে। ১৭৭৬ থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার সাথে দীর্ঘ যুদ্ধে হারলেও ১৭৫৬ সাল থেকে ১৭৬৩ সালের মধ্যেই তারা ভারত এবং কানাডাকে নিজেদের করতলে নিয়ে নেয়। সেই সাথে ডোমিনিকা, গ্রানাডা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও তখন বিলেতের করদ রাজ্য। ধীরে ধীরে পৃথিবীর মানচিত্রে ইংল্যান্ড হয়ে উঠে ‘গ্রেট ব্রিটেন’ নামে একটি দাম্ভিক রাষ্ট্র।



ভারতে আসা বিলাতি নারীরাও সেই বৃহত্তর বিলাতি সমাজের বড় এক অংশ। আগেই বলেছি এদের বেশির ভাগই ছিলেন নিম্নবিত্ত থেকে আসা। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রী বা কন্যা—এমন বিলাতি নারীরা সংখ্যায় ছিলেন অল্প। তবে উচ্চবিত্ত হোক আর নিম্নবিত্ত, ভারতে আশার পর সবাই তারা হয়ে যেতন ‘মেমসাহেব’। হৃদয়ে পোষণ করা বিলেতের আদলে নিজেদের জীবন গড়তে চাইতেন। ভারতে এসে প্রথমেই তারা নিজেদের মতো করে সুন্দর একটি বাড়ি বানাতেন। কেমন ছিল তাদের সেই স্বপ্নের বাড়িঘর?



রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিকে থেকে আঠার শতকের শেষাংশ থেকেই শুরু হয় বিলাতি জাগরণ। সেই সময় এক শ্রেণীর ভূসম্পত্তির মালিক উঠে আসে সমাজে। একদিকে তারা যেমন প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে, অন্যদিকে সামাজিক খ্যাতির জন্য তারা রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত হতে শুরু করে। তারপরের শ্রেণীর মানুষরাই হলো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্তরা ছিল শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে এবং উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি বহমান একটি শ্রেণী। তাদের হাতে টাকা কড়ি খুব একটা ছিল না কিন্তু মাথায় ঘিলু থাকায় সমাজ তাদের মান্য করত। অনেক মধ্যবিত্তরাও সেই সময় নিজের মেধা এবং পরিশ্রম খাটিয়ে উচ্চবিত্তদের খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছিলেন। নিম্নবিত্তরা ছিলেন বিলেতের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা স্বপ্নচারি এবং সেইসাথে সুযোগসন্ধানীও বটে। কারখানা শ্রমিক থেকে শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারি সবাই ছিলেন এই গোত্রভুক্ত। সংখ্যায় মোট জনসংখ্যার এরাই ছিল বিলেতের আসল প্রতিনিধি। উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত এই দু’শ্রেণীর মানুষরা বিলেত থেকে ভারত এসেছিল। উচ্চবিত্তদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ক্ষমতা আর ভারতের অপার সম্পদের দিকে। নিম্নবিত্তদের দৃষ্টি ছিল ভারতে গিয়ে দুটো পয়সার মুখ দেখা। সেক্ষেত্রে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল নিম্নবিত্তদের একমাত্র ভরসা। জাহাজের খালাসি থেকে শুরু করে বিলেতের সেনা কর্মকর্তা—যেকোন একটা পদ বাগাতে পারলেই জীবন ধন্য।

রবার্ট ক্লাইভ ১৭৪৩ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতে এসেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাসে পাঁচ পাউন্ড মাইনের একটি কেরানির চাকরি বাগিয়ে। আমরা দেখতে পাই ১৭৫৭ সালে মাত্র চৌদ্দ বছরের ব্যবধানে ক্লাইভ হয়ে গেলেন গোটা ভারতের অধিকর্তা এবং রাতারাতি তিনি বিলেতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হয়ে গেলেন আর সেইসাথে তার নামের আগে ‘লর্ড’ উপাধিও জুটে গেল। বলা যায় তিনি তখন বিলেতের অন্যতম ধনীদের একজন। জানা যায় ক্লাইভ তার শ্যালক অ্যাডমন্ডকে শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্যে সেই সময় দশ হাজার পাউন্ড উপহার দিয়েছিলেন। ভাবুন ভারত থেকে কী পরিমাণ ধন সম্পদ সাফাই করতে পারলে শুধুমাত্র শ্যালকের বিয়ের জন্যে দশ হাজার পাউন্ড উপহার হিসেবে দিতে পারেন!

ভারতে আসা বিলাতি নারীরাও সেই বৃহত্তর বিলাতি সমাজের বড় এক অংশ। আগেই বলেছি এদের বেশির ভাগই ছিলেন নিম্নবিত্ত থেকে আসা। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রী বা কন্যা—এমন বিলাতি নারীরা সংখ্যায় ছিলেন অল্প। তবে উচ্চবিত্ত হোক আর নিম্নবিত্ত, ভারতে আশার পর সবাই তারা হয়ে যেতন ‘মেমসাহেব’। হৃদয়ে পোষণ করা বিলেতের আদলে নিজেদের জীবন গড়তে চাইতেন। ভারতে এসে প্রথমেই তারা নিজেদের মতো করে সুন্দর একটি বাড়ি বানাতেন। কেমন ছিল তাদের সেই স্বপ্নের বাড়িঘর?

তৈরি হতো অনেকটাই বিলাতি বাড়িঘরেরর নকশাকে অনুকরণ করেই। ইটের বা মাটির চৌকোণা ঘর যার সামনে-চারপাশে থাকত লম্বা বারান্দা। টাইলের উঁচু ছাদ এবং সেইসাথে তাপমাত্রার নিরোধন এক ফুট পুরু দেওয়াল। জানালাগুলো ছিল কাচের। তবে কাচ শুধুমাত্র বিত্তবানরাই ব্যবহার করতেন। অল্প আয়ের বিলাতিরা কাচের পরিবর্তে কাঠের স্লাইড করা যায় এমন জানালা ব্যবহার করতেন। আবার কেউ কেউ জানালায় লোহার গ্রিলও বসাতেন। বাড়ির মেঝে ছিল কাঠের তৈরি। কখনো সেটিতে মাটিও ব্যবহার করা হতো। বাড়ির সামনে থাকত লম্বা উঠান এবং সেখানে বিভিন্ন রকমের বাহারি ফুলের বাগান। বাড়ির চারপাশে মোমবাতি, নারকেল তেল দিয়ে মনোহরি বাতি জ্বালিয়ে শোভা বর্ধন করা হতো। বাড়ির আসবাবপত্রের ভেতর ছিল বিলেত থেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসা কিছু তৈজষপত্র, কাপড় এবং চিনা মাটির কাপ-পিরিচ, বাসন-কোসন। ঘরের চেয়ার টেবিল, খাট, সোফা ছিল ভারতের বাজার থেকে কিনে আনা। ঘরের মাঝখানে থাকত হাতে টানা পাখা। ফেনি পার্ক নামের এক বিলাতি নারীর বর্ণনায়, “ঝুলন্ত অস্বাভাবিক রকম দেখতে মোটা কাপড় দিয়ে মোড়ানো কাঠের তৈরি পাখা যেটি লম্বায় বিশ, ত্রিশ বা তারো বেশি ফিটের মতন হতে পারে। ”

পাখা টানার জন্যে ভারতীয় চাকর নিয়োগ ছিল বাধ্যতামূলক। তাদের কাজ ছিল সারাক্ষণ দড়ি টেনে পাখা ঘুরিয়ে ঘরের ভেতর হাওয়া তৈরি করা। বাড়ির প্রতিটা কক্ষের সাথেই বাথরুম সংযুক্ত থাকা ছিল বাধ্যতামূলক। বাথটাবে ছিল গরম এবং ঠাণ্ডা পানির বিশেষ ব্যবস্থা। টয়লেট বিলাতি কায়দায় হাতল যুক্ত কাঠের কমোডে। কালো এবং হলুদ রঙের বিশেষ টিসু পেপার দিয়ে সাজানো থাকত ‘থানডারবাক্স’ নামের একটি ছোট বাক্স। বিলাতি নারীদের বাথরুম ব্যবহার করার পর বাইরে অপেক্ষমাণ সুইপার তা পরিস্কার করে কাঠের কমোডে নতুন সেট কাগজ বিছিয়ে যেত। তবে বিলাতি সাধারণ সৈন্যদের স্ত্রীদের সেরকম বাড়িতে থাকার সৌভাগ্য হতো না। তাদের জন্য ছিল সেনা ছাউনি। বিশেষ রকম বাড়ির ব্যবস্থা করা হতো। পরবর্তীতে ঊনিশ শতকের প্রথম দিকে সাধারণ সৈনিকদের স্ত্রীরাও নিজেদের মতো বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। তবে এই বাড়ি নিয়েও বিলাতি নারীদের মায়াকান্নার অন্ত নেই। ওয়ালেস ডানলপ নামের এক বিলাতি নারী আক্ষেপ করে বলছেন, “চাকরগুলো শোবার কক্ষে কোনো রকম শব্দ না করেই ঢুকে পড়ে। সারাক্ষণ মনে হচ্ছে কিছু কালো চোখ যেন আমাকে অনুসরণ করছে। বাড়িগুলোতে ‘প্রাইভেসি’ বলতে কিছুই নেই। ঠিকমতো বাথরুম করাও কত কষ্টের!”

চলুন এবার বিলাতি নারী এডিথ কুটহেলের সাথে তার বাড়িটি ঘুরে দেখা যাক। তার বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই বাড়ির ভেতরে লিঙ্গ ভেদে বিভিন্ন আকৃতির চেয়ারগুলো সাজানো রয়েছে। পুরুষ এবং নারীদের জন্যে স্বতন্ত্র চেয়ারের ব্যবস্থা ছিল জরুরি। বাঁশের তৈরি লম্বা চেয়ার পুরুষদের জন্যে তৈরি হতো। এই চেয়ারে হাতল এবং পা রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। বেতের ছোট চেয়ার, কাচের খাজ কাটা চেয়ার এবং মেহগনি কাঠের নরম গদি বসানো চেয়ারে বসে বিলাতি নারীরা বৈকালিক চা পান এবং পরস্পর গল্প গুজব করে সময় কাটাত। বাথরুম নিয়ে বিলাতি নারীদের আলাদা একটা দুর্বলতা সবসময়ই ছিল। বিশেষ করে বাথরুমগুলোকে অবশ্যই মূল শোবার ঘরের সাথে যুক্ত থাকতে হতো। সাহেব এবং মেমসাহেবদের ঘুমে যাতে বেঘাত না ঘটে সে জন্য বাথরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিসু পেপার, পানি, সুগন্ধি আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হতো। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত ইংরেজ পরিবারের ঘরবাড়িতে ঠাণ্ডা এবং গরম পানির সুব্যবস্থা করা হতো। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে চোখ বুজে কোনো রকম বিছানা থেকে বাথরুম পর্যন্ত যেতে পারলেই হলো। বাকি কাজ ন্যাস্ত ছিল ভারতীয় চাকরদের ঘাড়ে।

কিন্তু যেসব বিলাতি নারী শহর থেকে দূরে মফস্বলে থাকতেন তাদের ছিল ত্রাহি দশা! তাদের না ছিল তেমন যুতসই আকারের কোনো বিশাল আয়তনের ঘর আর না ছিল সেই ঘর সংলগ্ন কোনো সুগন্ধীযুক্ত বাথরুম। বেশির ভাগ সময় ‘কুলি’দের আন্তরিক সহযোগিতায় বিলাতি নারীদের বাথরুমগুলোয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি মজুদ করে রাখা হতো। কিন্তু মজুদ করা কি সবসময় সম্ভব হতো? ইথেল সেভি নামে এক বিলাতি মেম ভারতে এসেছিলেন ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে। স্বামী মফস্বলে চাকুরে হওয়ার কারণে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে ভারতের বিভিন্ন মফস্বল শহর ঘুরে ঘুরে। অন্যান্য বিলাতি নারীর মতো তিনি আয়েশি জীবন কাটাতে পারেননি। এই ছিল তার মনের দুঃখ। শুধু কি তাই? বাথরুমের মতো একটি নিরাপদ জায়গায় তিনি যে দু দণ্ড শান্তিতে সে কম্মটি করবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। চলুন তার কথা তার মুখ থেকেই শুনি:

“আমাদের বাথরুমের চৌবাচ্চাটা উচ্চতায় দুই ফিটের মতো হবে। সেটার সবসময় পানি ভরে রাখা হতো। সেই চৌবাচ্চায় ছিল টিনের একটি মগ। সেই টিনের মগ দিয়ে চৌবাচ্চা থেকে পানি গায়ে ঢেলে গোসলের ব্যবস্থা ছিল। গোসলের ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য বাথরুম থেকে ছোট বাগানের মাঝ বরাবার ছিল ছোট্ট একটি চিকন খালের মতো। সেখান দিয়ে পানির স্রোতধারা বয়ে চলত। চৌবাচ্চার পাশেই ছিল কাঠের কমোড। সেই কমোডের ডান পাশে থাকত থানডারবক্স। থানডারবক্সে টিসু পেপার মজুদ থাকত। কিস্তু অনেক অনেক সময় থানডারবক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিসু মজুদ থাকত না। তখনই হতো বিপদ। সেই দুঃসময়ে টিসুর বিকল্প হিসেবে টিনের মগের পানি ছাড়া আর কোনো গতি থাকত না। ”

পর্ব ১৬ পড়তে ক্লিক করুন



বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।