ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

অসাম্প্রদায়িক বাউল সঙ্গীতের কাঙাল হরিনাথ | সুকান্ত পার্থিব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
অসাম্প্রদায়িক বাউল সঙ্গীতের কাঙাল হরিনাথ | সুকান্ত পার্থিব

পথের পাঁচালি চলচ্চিত্রের জন্যে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। মনোমুগ্ধকর চিত্রায়ন ও অসাধারণ জীবনকাহিনী হৃদয় কেড়েছিলো সবার।

সিনেমাটিতে একটি জনপ্রিয় গান ছিলো; যা দর্শকনন্দিত হয়। অপু আর দুর্গার পিসিমার গাওয়া একটি গান। একা বসে গাইছিলেন তিনি, ‘হরি দিন তো গেলো, সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে’। বহুদিন মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে সে গান। এখনও খুঁজে পাওয়া যায় মানুষের মুখে গানের এই প্রথম লাইনটিকে। গানটি পথের পাঁচালি সিনেমায় ব্যবহার করেছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। গানটি আসলে কার লেখা ছিলো? আমরা অনেকেই হয়তো সেটি জানি না। গানটি লিখেছিলেন গ্রামবাংলার এক অসামান্য মানুষ। যিনি বড় হয়েছিলেন দারিদ্র্যতার কষাঘাতে। অখ্যাত গ্রামের দারিদ্র্যপীড়িত প্রতিভাধর সন্তান ছিলেন তিনি। পররবর্তীতে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি আর কেউ নন, কাঙাল হরিনাথ। তার আসল নাম হরিনাথ মজুমদার।
দারিদ্র্যতার সঙ্গে ছেলেবেলা থেকেই তার দারুণ সখ্যতা ছিলো বলেই তিনি পরিচিত ছিলেন ‘কাঙাল’ নামে। তাই প্রায় সবাই তাকে চেনেন কাঙাল হরিনাথ নামে। বাউল গানে নিজেকে কাঙাল বলে উপস্থাপন করতেন বলেই তার এই পরিচিতি গড়ে ওঠে। বিখ্যাত বাউল সাধক লালনের শিষ্য ছিলেন তিনি। তবে কাঙাল হরিনাথ তার বাউল গানের জন্য শুধু নয়, অন্য অনেক কাজের জন্য অমর হয়ে রয়েছেন।  

হরিনাথ মজুমদার অর্থাৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার কুষ্টিয়া জেলার গড়াই তীরবর্তী কুমারখালী গ্রামের কুণ্ডুপাড়ায় ১২৪০ বঙ্গাব্দ ও ২২ জুলাই ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নেন। আর্থিক টানাপড়েনে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেননি। কিন্তু তরুণ বয়সেই অসহায় মানুষের পক্ষে কাজ শুরু করেন। সেসময় ব্রিটিশ শাসকদের নির্যাতনের শিকার গ্রাম-বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের কথা লিখতে থাকেন ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায়। অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হলেও অবহেলিত সমাজের বৈষম্য এবং জমিদারদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলার জন্য তিনি ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার প্রথম সংবাদপত্র ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন। পরে পত্রিকাটি পাক্ষিক ও তার কিছু পরে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এক পয়সা মূল্যের এই পত্রিকাটিতে কাঙাল হরিনাথ অবিরাম নীলকর ও জমিদারদের নানা জুলুমের কথা প্রকাশ করতে থাকেন। পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন। কাঙাল হরিনাথের পত্রিকাটি সেইসময়ে নির্যাতিত কৃষক ও প্রজাদের পক্ষের একটি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি ও নানা বিরোধিতায় ১৮ বছর প্রকাশের পর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই উনিশ শতকে গ্রামের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এমন একটি পত্রিকা প্রকাশের কারণে কাঙাল হরিনাথ অমর হয়ে রয়েছেন। ১৮৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কাঙাল হরিনাথ।


কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি, পদ্মার পাড় দিয়ে আর গড়াইয়ের কোল ঘেঁষা ঐতিহাসিক একটি জায়গা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমি। যেখান থেকে বিপ্লবী বাঘা যতীনের উত্থান, জমিদার দর্পণ’র নাট্যকার মীর মোশাররফ হোসেনের ক্রমশ বিপ্লবী লেখক হয়ে ওঠা এবং লালনের বিপ্লবী ন্যাংটা বাহিনীর ইংরেজ লাঠিয়ালদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইতিহাস। কিন্তু এরও মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক বিস্ময়কর ইতিহাস।  

উনিশ শতকের ভারতবর্ষ আর এই বাংলা ভূখণ্ড মূলত ইংরেজ শাসনের কফিন তৈরি করেছে। সেসময় কাঙাল হরিনাথের আবির্ভাব হয়েছিলো সাপ্তাহিক ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ নামে সংবাদপত্রের মধ্য দিয়ে, বাংলা ১২৭০ সালের পহেলা বৈশাখ। এই সেই ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ যার পাতায় পাতায় একজন গ্রামীণ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক তুলে এনেছিলেন ইংরেজ শাসনের দুরাচার, অন্যায়। আবার তুলে এনেছিলেন মুক্তির পথ। তার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বিপ্লবের শপথ, মুখবন্ধ, বিপ্লবীদের বীরত্বগাথা। অনুপ্রাণিত করা হয়েছে বিপ্লবীদের। আবার আঘাত করা হয়েছে ব্রিটিশ শাসনের মূলে। এই মানুষটি, যার সাহস আর সংগ্রামে কেঁপে উঠেছিলো শাসকগোষ্ঠী, যাকে হত্যা করার জন্য ইংরেজদের ঘুম হারাম হয়ে যায়, তার লেখনীই বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। লালন সাঁইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাঙাল হরিনাথকে একবার জমিদারদের লাঠিয়ালরা ধরে নিয়ে যেতে আসছে শুনে লালন তার বাউলদের দলবল নিয়ে যে ঘরে তাকে পাহারা দিয়েছিলেন, সেটি উপমহাদেশের বিখ্যাত এম.এন প্রেস। আবার বলছি, কাঙাল হরিনাথের বংশভিটা কুমারখালির কুণ্ডুপাড়া উপমহাদেশের প্রথম প্রেস বা ছাপাখানা। কাঙাল হরিনাথ প্রথম ছাপাখানা তৈরি করেন তার ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ কে সচল রাখার জন্য।  
নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাদের হৃদয় কোঠায় স্থান করে নেন। শত বাধা উপেক্ষা করে অসীম সাহসের সঙ্গে তিনি লিখেছেন ইংরেজদের দুঃশাসন, নীলকর, জোতদার জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে। এ পত্রিকাটি কালক্রমে প্রথমে পাক্ষিক ও সবশেষে এক পয়সা মূল্যমানের সাপ্তাহিকী পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। এতে কুসীদজীবী ও নীলকর সাহেবদের শোষণের কাহিনীর পাশাপাশি সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ক প্রবন্ধ নিয়মিত মুদ্রিত হতো।  
বাউল সঙ্গীতকে সামাজিক জীবনধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মানসে উনবিংশ শতকে যে কয়েকজন সাহিত্য সাধক নিজেদের সাহিত্যে নিয়োজিত করেছিলেন, কাঙাল হরিনাথ তাদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃত। বাংলা ভাষার ওপর কাঙাল হরিনাথের দখল ছিলো অসাধারণ। এর ফলে তিনি হয়েছিলেন এক কালোত্তীর্ণ সাহিত্যসাধক। যে যুগে হরিনাথ সাহিত্য সাধনা করেন সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাষা ও কল্পনার যুক্তভঙ্গি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক কালজয়ী অধ্যায়।
১২৮৭ সালে ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের অনুপ্রেরণায় ও রায় জলধর সেন প্রমুখের প্রত্যক্ষ আগ্রহ আর সহযোগিতায় ‘ফিকির চাঁদ ফকিরের দল’ গঠনের মাধ্যমে বাউল গান রচনা, প্রসার- প্রচারের যাত্রা শুরু করেন। বাউল গানের দল গঠনের অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন লালন সাঁইজীর কাছে। পিতৃপ্রদত্ত নাম হারিয়ে যায় ছদ্ম নামের আড়ালে। ‘কাঙাল’ ও ‘ফিকির চাঁদ ফকির’ নাম ভনিতায় রচনা করে চললেন অসংখ্য বাউল গানসহ অন্য ভাবধারার সঙ্গীত।
ঘুমন্ত নিরক্ষর অলস পাষাণ হৃদয়কে আঘাত হানতে রচিত সঙ্গীতে তিনি ব্যবহার করলেন সহজ ভাব রূপকের দ্যোতনা। কাঙাল রচিত প্রথম গান হিসেবে পরিচিত গানটিতেই নশ্বর প্রাকৃতিক মোহের ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান-
‘ভামন দিবানিশি অবিনাশী/সত্য পথের সেই ভাবনা,
যে পথে চোর ডাকাতে কোনমতে/ছোঁবে নারে সোনাদানা’।


ফিকির চাঁদের নাম ও দলের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে গ্রাম, থানা, মহকুমা, জেলা ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো। এই ঘটনার চমৎকার বর্ণনা রয়েছে রায় জলধর সেন সম্পাদিত ‘কাঙাল হরিনাথ’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে। সামাজিক সামঞ্জস্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাঙাল হরিনাথের অকান্ত প্রচেষ্টাও লক্ষণীয়। ভাব সঙ্গীতের রস-ব্যঞ্জনার মাধ্যমে তিনি নিরন্তর চেষ্টা করেছেন সমাজ থেকে তথা মানুষের মানবিকতা থেকে সাম্প্রদায়িকতার ক্ষত আরোগ্য করতে। সমাজমানসকে উজ্জ্বীবিত করতে তিনি লিখেছেন,
‘নানা ধর্মে অন্ধ হয়ে, ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব করিয়ে/রহিয়াছে ঘুমাইয়া, হয়ে চৈতন্য দেখার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে যতো ভ্রান্ত/ভগবান এক ভাবিয়ে দেখ লীলারসে ভাবান্ত’।


ধর্মান্ধতার মধ্যেই যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প লুকিয়ে সে কথাই কাঙাল ভাব-সঙ্গীতের মাধ্যমে বোঝাবার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। একইসঙ্গে সমাজকে মানবকল্যাণমুখী করে তোলার আহ্বানও রয়েছে তার রচনায়-
‘পাথর আর সীসে লোহা, দেখে যাহা/তাকেই লোকে কঠিন বলে,
এ সকল নয়রে কঠিন, গ’লে একদিন/সুকৌশলে উত্তাপ দিলে;
ওরে কঠিন হৃদয় সেই তো রে হয়/পরের দুঃখে যে না গলে’।
ফিকির চাঁদের বাউল দলের বিপুল জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ-অভিভূত হয়ে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মন্তব্য করেছিলেন, ‘এমন যে হইবে তাহা ভাবি নাই। এমন করিয়া যে দেশের জনসাধারণের হৃদয়তন্ত্রীতে আঘাত করা যায় তাহা আমি জানিতাম না। ’
পরহিতব্রত হরিনাথকে অনেক বেশি মাত্রায় মানবিকতার দীক্ষায় দীক্ষিত করেছিলো, যে মানবিকতার জায়গা থেকেই তিনি হিন্দু-ব্রাহ্মের বিবাদ মীমাংসায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন-প্রচেষ্টায় উদ্যোগী হয়েছেন। এই মানবিক মূল্যবোধের চর্চার কারণেই তিনি উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ পর্যায়ের বাংলাদেশে সমসময়ের হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদের নিন্দা করেছেন। হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক বিদ্বেষ স্বাভাবিকভাবেই তাকে বিচলিত করেছিলো। তিনি লিখেছিলেন-
‘জাতির নামে ধুয়া তুলে/(দিচ্ছ) খড়ো ঘরে আগুন জ্বেলে
এ জাত যে জাত মারবার কল/নদীর জল করছি পান
একই জমির খাচ্ছি ধান/একই ভাষায় গাইছি গান
ভাইয়ের বুকে ছুরি মারে/(তারা) শয়তানের দল’।
ফিকির চাঁদ ফকিরের মুন্সিয়ানা লক্ষ্য করা যায় তার দেহতত্ত্ব গানের বিশ্লেষণ করলে। চিন্তা-চেতনার যে পরিস্ফুটন ও প্রখরতা তার রচনায় লক্ষ্য করা যায় তা হাতেগোনা কয়েকজন বাউল সাধকের মধ্যেই মাত্র দেখা যায়। তার বিপুল খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে সমসাময়িক কালের লালন ফকির, সাধক রামপ্রসাদ, পাগলা কানাই ও চারণ কবি মুকুন্দ দাস প্রমুখের কেবল তুলনা করা যায়। মিথ্যে ভাববাদিতা বর্জন করে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জগত ও জীবনকে অবলোকন করা কাঙাল হরিনাথের ন্যায় প্রকৃত বাউল সাধকেরই কাজ। ভাবের গভীরতা আর ভাষার ব্যঞ্জনা, এই দু’য়ে মিলে হরিনাথের এক স্বকীয়তাই উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার বাউল গানে-
‘কোথা থেকে আসে এসব কোথায় যায়/তা ভাবতে গেলে মাথা ঘোরে ভাবনা শেষে ভাব না পায়/ভাইরে বট গাছের বিচি ওতা নিতান্ত কুচি
তার ভিতরে খুঁজলে পাবে জল একটু রতি/মাটিতে পড়ে দুদিন পরে
সেই রতি জল আসমানে ধায়। ’
সত্যানুসন্ধান, সৃষ্টিতত্ত্ব নিরূপণ, রূপতত্ত্ব, দৈন্য, আক্ষেপ, ইত্যাদি জগত ও জীবনের অধ্যাত্ম ভাবনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রস পাওয়া যায় কাঙাল রচিত বিভিন্ন ভাবসঙ্গীতে। ভাব ও ভাবনার সমন্বয় করেই তিনি যেনো তার গানের ভাণ্ডার সাজিয়েছেন।
‘ওহে দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো/পার কর আমারে
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা/ডাকছি হে তোমারে’।
কাঙাল রচিত সঙ্গীতের সঠিক সংখ্যা সম্ভবত এখনও নিরূপিত হয়নি। কেননা ‘কাঙাল ফিকির চাঁদের বাউলসঙ্গীত’ গ্রন্থের নিবেদন অংশে রায় জলধর উল্লেখ করেছেন, ‘কাঙালের অসংখ্য গীতের মধ্যে অল্প কয়েকটিই এই গ্রন্থে দিতে পারিলাম; যদি কখনো সময় হয়, আর আমি যদি ততদিন বাঁচিয়া থাকি তবে দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশের চেষ্টা করিব। ’ 
আজ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক অতিক্রমণের পর আমরা ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশে এক নিদারুণ সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পের মুখোমুখি। ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান যে বারবার আমরা প্রত্যক্ষ করছি তাতে করে উদ্বেগের কারণ ক্রমবর্ধমান। প্রতিবাদ ও মুক্তচিন্তার অনুশীলনের ওপর যে ধরনের নগ্ন আক্রমণ বিনিয়ন্ত্রণের কারণে শাখাবিস্তার করছে, তার পরিণতিতে এক অভূতপূর্ব অন্ধকার ঘনীভূত হচ্ছে। এসময় আমাদের প্রয়োজন নতুন এক হরিনাথ মজুমদারের, কাঙাল হরিনাথের। যিনি অন্ধকারে প্রজ্জ্বলন করবেন আলোর মশাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।