অন্যদিকে, নাহিদ নাজিয়াও বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। সাধারণত আধুনিক, ফোক ও নজরুল সঙ্গীত গেয়ে থাকেন।
সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। এ দুই মূল শিল্পীর পরিচিতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু। এরপর দুজনকে আহ্বান জানান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামের মঞ্চে। আইজিসিসি’র আয়োজনে শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শুরু হয় গান-কবিতাময় এক মুগ্ধতার আসর।
সৈয়দ আল ফারুকের ছড়া দিয়ে শুরু। এরপর নাহিদ নাজিয়ার গান। ফের কবিতা ফের গান, কখনও গান-কবিতার যুগলবন্দি- শেষে আবারও কবিতা ও গানে সমাপ্তি ঘটে দুই ঘণ্টার এ মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার।
কবি ফারুকের পড়া কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো- আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার, একজন মানুষ আসলে একজন নয়, গুড মর্নিং রবীন্দ্রনাথ, ইচ্ছা জ্বর, এক মিনিট ভালোবাসা পালন করুন, চাই শুধু তোমাকে প্রভৃতি।
কণ্ঠশিল্পী নাহিদ গেয়ে শোনান- এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়, নিশা লাগিলো রে, ভালোবাসি ভালোবাসি, শাওন রাতে যদি, আমায় ভাসাইলি রে, মিলন হবে কতোদিনে, সেদিন আকাশে ছিলো কতো তারা প্রভৃতির মতো ভাটিয়ালি, আধুনিক, রবীন্দ্র, নজরুল, বাউল সঙ্গীত।
কবি ফারুক তার পরিবেশনাকে নিছক কবিতা পাঠেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, উপরন্তু পঠিত ছড়া-কবিতার প্রেক্ষাপট বর্ণনা, আবেগ-অনুভূতির বয়ান ও সহজাত হাস্যরসে আরও উপভোগ্য করে তোলেন। পাশাপাশি শিল্পী নাহিদ বৈচিত্র্যময় নানা গানের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত শ্রোতাদের। বিশেষ করে দুজনের গান-কবিতার যুগলবন্দি ছিলো মনে রাখার মতো।
গিটারে ছিলেন শাকিল মো. দীপন, কি-বোর্ডে বিনোদ রায়, তবলায় বিশ্বজিৎ সরকার, বাঁশিতে কামাল আহমেদ ও অক্টোপ্যাডে মো. সাদেক আলি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এসএনএস