শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বাংলা গানের কিংবদন্তি গায়ক আব্দুল আলীম স্মরণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন শিল্পীপুত্র ও আলোচক আজগর আলীম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি-গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান।
আজগর আলীম বলেন, দেশভাগের পর আব্দুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের কাছে লোকসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ঢাকার সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় লোকগীতি বিভাগে তিনি কিছুদিন অধ্যাপনাও করেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, বাংলা লোকসঙ্গীতের এই অমর শিল্পী লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা-পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে পালা-পার্বণে গান গেয়ে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
আলোচক তাসমিমা হোসেন বলেন, অল্প বয়স থেকেই বাংলার লোকসঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার লোকসঙ্গীতের এক অবিসংবাদিত-কিংবদন্তি পুরুষ।
মফিদুল হক বলেন, আব্দুল আলীমের কণ্ঠ উপযোগী গান রচনা করছেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, কবি আজিজুর রহমান, আবদুল লতিফ, খান আতাউর রহমান, ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান, কানাই লাল শীল, সিরাজুল ইসলাম, শমশের আলীসহ অনেকে। আব্দুল আলীমের গানের সংখ্যা প্রায় ৫০০ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০৭
এইচএমএস/এএ