মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে ‘শতাব্দী পেরিয়ে শওকত ওসমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন শওকত ওসমানের পুত্র ও মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিডেটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ভিন্ন জীবনবোধের মানুষ ছিলেন তিনি। এই মানুষগুলোকে স্মরণ করে আমরা নিজেরাও স্মরণীয় হতে চাই।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, প্রাণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন শওকত ওসমান। তার লেখা ও বলার ক্ষমতা ছিল অতুলনীয়। বিশেষ করে তার জননী ও ক্রীতদাসের হাসি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ সম্মানের জায়গায় অধিষ্ঠিত।
ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক বলেন, শুধু বাংলা সাহিত্য নয়, বিশ্ব সাহিত্য পাঠ করে শওকত ওসমান নিজেকে বিশেষভাবে গড়ে তুলেছিলেন। বিশ্বসাহিত্যের বিষয়বোধগুলো তিনি নিজের মধ্যে আত্মস্থ করেছিলেন দারুণ মনোযোগ সহকারে।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি জাদুঘরের জন্য শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে শওকত ওসমানের ব্যবহৃত সামগ্রী বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবর্তন করা হয় শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার।
দু’টি ভাগে বিভক্ত এ পুরস্কার দেওয়া হবে একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিককে আজীবন সম্মাননা হিসেবে। আরেকটি দেওয়া হবে নতুন লেখকদের পাণ্ডলিপি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।
এবছর আজীবন সম্মাননা পেলেন ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক। অনুষ্ঠানে তার হাতে ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এইচএমএস/এএ