বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানি, রাজিব সামদানি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী মণিরুজ্জামান ও গোল্ডেন হারভেস্ট এর পরিচালক মহিউস সামাদ চৌধুরী।
এবারের প্রদর্শনীতে ৩৫টি দেশের ৩’শ এর বেশি শিল্পী অংশ নেবেন বলে জানান নাদিয়া সামদানি। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অজানা এবং একইসঙ্গে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় শিল্পকলার উন্নয়নকে সামনে রেখে সামিটে ১২০ জনেরও বেশি বক্তার অংশগ্রহণে থাকবে ১৬টি প্যানেল আলোচনা। এছাড়া অনুষ্ঠিত হবে ২টি সিম্পোজিয়াম, যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দক্ষিণ এশীয় শিল্পের নতুন এক দিগন্তকে উন্মোচন করতে এবারের সামিটে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কিউরেটরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততাকে তুলে ধরা হবে নতুনভাবে।
জাতীয় উন্নয়নকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করার জন্য থাকছে শ্রীলঙ্কার অজানা শিল্পকলার ইতিহাস। আলোকপাত করা হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রদর্শনীর ইতিহাসের ওপর। এবারের সামিটে প্রথমবারের মতো সম্পৃক্ত হচ্ছে ইরান ও তুরস্ক।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, এ আয়োজন বাংলাদেশের শিল্প মাধ্যমকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকা আর্ট সামিটের আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর