ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঐতিহ্য রক্ষার প্রত্যয়ে শেষ যন্ত্রসংগীত উৎসব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
ঐতিহ্য রক্ষার প্রত্যয়ে শেষ যন্ত্রসংগীত উৎসব সমাপনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছেন শিল্পীরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির আকাশে দেখা দিলো আতশবাজির ঝলকানি। সে আলোয় আলোকিত হলো শিল্পকলা একাডেমির পুরো প্রাঙ্গণ। নন্দনমঞ্চে বাদ্যযন্ত্রে সুর তুলে শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন রাঙামাটি জেলার বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা। জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসবের সমাপনী আয়োজনে এদিন ‘রাঙামাটির দ্যাশে যা’র সুর মূর্ছনায় মুখরিত হয় উৎসব প্রাঙ্গণ।

সমাপনী দিনে রাঙামাটি, লালমনিরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, সিলেট ও রাজশাহী জেলার শিল্পীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোনান যন্ত্রসংগীতপ্রেমীদের। জাতীয় পর্যায়ের যন্ত্রসংগীত শিল্পী বিশিষ্ট বেহালা বাদক ড. রূপসী মমতাজ, বিশিষ্ট বাঁশি শিল্পী মূর্তজা কবির মুরাদ, সন্তুর শিল্পী সালাউদ্দিন শান্তনু, বিএমএফ অর্কেস্ট্রা দলের বিশেষ পরিবেশনা ‘বায়ান্ন থেকে পঁচাত্তর’ এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অর্কেস্ট্রা পরিবেশনাও এদিন মুগ্ধ করে সবাইকে।

১ থেকে ১০ জানুয়ারি একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দনমঞ্চে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব। ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে নির্ধারিত অনুষ্ঠান স্থগিত থাকায় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, বাঙালি বাদ্যপ্রিয় জাতি। বাঙালির যাপিত জীবনের সঙ্গে প্রায় ৬০০ রকমের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সংগীতে পাশ্চাত্য যন্ত্রের অতিমাত্রিক ব্যবহার ও দেশীয় যন্ত্রের প্রতি উদাসীনতার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র। বাংলার বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রসংগীতকে রক্ষা ও মানসম্মত চর্চাসহ নতুন প্রজন্মকে আমাদের দেশীয় বাদ্যযন্ত্রে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের মাতৃভূমির শিল্পসংস্কৃতি রক্ষায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসবের আয়োজন।  

তিনি জানান, বাঙালি জাতির বাদ্যপ্রিয়তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধরে রাখতে এ উৎসবের মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির লুপ্তপ্রায়-প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণ এ উৎসবের মূল লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।