‘অনেকদিন পর নাটক দেখে ভীষণ তৃপ্তি পেলাম। ’ নাটক শেষে এমন কথা বলেছেন অনেক দর্শকই।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) প্রাচ্যনাট্য মঞ্চে আনে নাটক নৈশভোজ। তারুণ্যে উদ্দীপ্ত একঝাঁক তরুণের মঞ্চায়নে নাটকটি জয় করে নেয় প্রায় সকল দর্শকের মন।
গ্রামের এক প্রান্তে দরিদ্র চামার পাড়ায় কয়েক ঘর চামার পরিবারের বাস। অন্য প্রান্তে বসবাস উপরতলার কুণ্ডু বাবুদের। দখলদারদের চাপে চামারদের পরিবার যেখানে জীবিকার সংকটে, কুণ্ডুদের বাগানে সেখানে কাঁঠাল উপচে পড়ে। তবু অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে কুণ্ডু বাবুরা।
চামার পাড়ার সাধু তুষ্টু, নিত্য সম্ভ্রম বাঁচাতে বেছে নেয় মৃত্যুর পথ। কিন্তু মৃত্যু মুক্তি দেয় না তাকে। বন্য শেয়ালের পাশাপাশি কুণ্ডু বাবুরাও মেতে ওঠে নিজ নিজ ভোজের খোঁজে। আর এভাবেই তৈরি হতে থাকে সকলের নৈশভোজ। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
হলুদ-সবুজ মঞ্চায়নে লাল নীল উজ্জল আলোর খেলা নাটকটিতে মন কেড়েছে দর্শকদের। মনে ঢেউ তুলেছে নাটকের ছোট ছোট কোরিওগ্রাফিও। এছাড়া সঙ্গীত প্রয়োগ আর পোশাক পরিকল্পনার স্তুতিও গেয়েছেন অনেক নাট্যপ্রেমী।
নাটক সম্পর্কে নাটকটির নির্দেশক মিতুল রহমান বলেন, প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যন্ড ডিজাইনের প্রতিটি ব্যাচের জন্য নাটক নির্মাণ আমাদের একটি নিয়মিত কাজ। এখানে নির্দেশকের মুন্সিয়ানা প্রকাশের চেয়ে বরং নাটক নির্মাণের প্রতিটি ধাপের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়াই মূল উদ্দেশ্য।
১৯৯৭ সাল থেকে এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় 'প্রাচ্যনাট' বাংলাদেশের নব-নাট্যচর্চার অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত নাম। তারুণ্যের সাথে আধুনিকতম শিল্পভাবনাকে যোগ করে বিগত দুই দশকে ৩০টি ছোট বড় নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি নিত্য নতুন নাট্য-ভাবনার প্রয়োগ করে আসছে এ নাট্যদলটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ