শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ।
এ সময় তাদের সঙ্গে যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন পিনু সেন দাস (তবলা), রবিনস চৌধুরী (কী-বোর্ড) ও ফিরোজ খান (সেতার)।
এর আগে বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উত্থাপন করেন অধ্যাপক শফিউল আলম। আলোচনায় অংশ নেন মো. মনিরুল ইসলাম ও সরকার আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী রফিকুল আলম।
আলোচকরা বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার সবগুলো উপকরণই খান বাহাদুর আহছানউল্লার জীবনচর্চার সঙ্গে মিশে ছিল। শিক্ষা-দীক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বাঙালি মুসলমানদের সামনে এগিয়ে নিতে তিনি কাজ করে গেছেন।
‘‘বাংলা ভাষা ‘হিন্দু না মুসলিমের’ এ বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বঙ্গীয় মুসলিম সমাজের উন্নতির জন্য বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করতে হবে। ’
সভাপতির বক্তব্যে কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা সংস্কার ও প্রসারে খান বাহাদুর আহছানউল্লা যে অবদান রেখে গেছেন তা আমাদের স্মরণে রাখাতে হবে। আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি মানবসেবার অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ