ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

দ্য ভিঞ্চি কোড | ড্যান ব্রাউন (৩য় পর্ব)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
দ্য ভিঞ্চি কোড | ড্যান ব্রাউন (৩য় পর্ব) দ্য ভিঞ্চি কোড | ড্যান ব্রাউন

ডানিয়েল গেরহাড ব্রাউন (জন্ম ২২ জুন, ১৯৬৪) একজন আমেরিকান থ্রিলার ঔপন্যাসিক। এনজেলস অ্যান্ড ডিমনস (২০০০), দ্য ভিঞ্চি কোড (২০০৩), লস্ট সিম্বল (২০০৯), ইনফারনো (২০১৩) এবং অরিজিন (২০১৭) তার বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস। এসব উপন্যাসের নায়ক রবার্ট ল্যাংডন।

ক্রিপ্টোগ্রাফি, গোপন চাবি, সিম্বল, কোড এবং কন্সপিরেসি থিওরির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, সব ধরনের গুপ্ত রহস্য ভেদ করে চব্বিশ ঘণ্টার মাঝে তাকে সমস্যার সমাধান করতে দেখা যায়। তার বইগুলো এযাবত ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ২০০ মিলিয়নেরও বেশী কপি বিক্রি হয়েছে। এনজেলস অ্যান্ড ডিমনস, দ্য ভিঞ্চি কোড এবং ইনফারনো-এর কাহিনী অবলম্বনে তিনটি সফল চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

ব্রাউনের এসব উপন্যাসে প্রধান চরিত্র, ল্যাংডন। পাশাপাশি এসবে মটিফ হিসেবে এমনভাবে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু এবং খ্রিস্টানত্ব অন্তর্ভূক্ত হতে দেখা যায়, যা বিতর্ক উসকে দেয়। তার থ্রিলার নোভেল দ্য ভিঞ্চি কোড এর শুরুতেই প্যারিস ল্যুভর মিউজিয়ামে এক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে যায় প্রধান চরিত্র ‘সিম্বলজিস্ট’ প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডনের নাম। রহস্য ভেদ করতে আরও এগিয়ে আসেন ক্রিপ্টোলজিস্ট সফি নাজে। ঘটনার অব্যবহত পরই এ দু’জন, তাদের প্রতীক ও ক্রিপ্টোগ্রফির জ্ঞান ব্যবহার করে, পরস্পরবিরোধী গুপ্তসংঘ প্রায়োরি অব সিয়ন ও অউপাস ডেই-এর অজানা সব লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড আবিষ্কার করতে শুরু করেন। এক পর্যাযে তারা জানতে পারেন, সহচর মেরি মাগদালিনের গর্ভে যিশু খ্রিস্টের সন্তান জন্ম এবং তার বংশধরদের টিকে থাকার মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে গোপন এই বিবাদের সূত্রপাত... 

 

দ্য ভিঞ্চি কোড

মূল: ড্যান ব্রাউন

ভাষান্তর: সোহরাব সুমন

 

অধ্যায় ৩

অপেরা হাউজ দক্ষিণে রেখে প্যালেস ভোদ্যুম অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার সময় সিথোয়েন জেডএক্স-এর খোলা জানালায় এপ্রিলের মচমচে শীতল বাতাসের ঝাপটা এসে লাগে। প্যাসেনজার সিটে বসে, চিন্তার জড়তা কাটিয়ে উঠবার চেষ্টা করতেই ল্যাংডন বুঝতে পারেন শহরটা ক্রমেই তার পেছনে সরে পড়ছে। দ্রুত গোসল আর শেভের কারণে তাকে পরিমিতভাবে উপস্থাপনযোগ্য দেখালেও সেটা তার দুশ্চিন্তা দূর করতে মোটেই কাজে আসছে না। কিউরেটরের শরীরের ভয়ানক ছবি তার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

জ্যাক সোনিয়া এখন মৃত।

কিউরেটরের মৃত্যুতে ল্যাংডন হারাবার গভীর করুণ এক অনুভূতির দ্বারা আক্রান্ত না হয়ে পারেন না। নিঃসঙ্গ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলেও, শিল্পের প্রতি একনিষ্ঠতায় তার স্বীকৃতি তাকে শ্রদ্ধাভাজনের কাছে একজন অবাধ ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। প্যুসা ও টেনিয়ারস-এর চিত্রকর্মের মাঝে লুকানো গূঢ় সঙ্কেতলিপি সম্পর্কে লেখা তার বইগুলো শ্রেণীকক্ষে পড়াবার ক্ষেত্রে ল্যাংডনের অন্যতম পছন্দের। আজ রাতের সাক্ষাতের জন্য ল্যাংডন খুবই আগ্রহী ছিলেন, এবং কিউরেটরকে দেখতে না পেয়ে তিনি হতাশ হন।

আবারও কিউরেটরের দেহখানা তার মনে ঝলকে ওঠে। জ্যাক সোনিয়া নিজেই নিজের ওপর এমন করেছেন?

জোর করে ছবিটা মন থেকে দূর করতে, ল্যাংডন পাশ ফিরে, জানালার বাইরে তাকায়।

বাইরে, শহরটা সবে ঝিমিয়ে পড়ছে- রাস্তার ক্যান্ডিমাখা অ্যামন্ড বিক্রেতা হকাররা তাদের এক্কা গাড়িগুলো ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে, পরিচারকেরা গার্বেজ ব্যাগ নিয়ে সড়ক দ্বীপের দিকে এগোচ্ছে, মাঝ রাতের এক প্রেমিক যুগল ফুটন্ত চামেলির সুবাস মাখা বাতাসে উষ্ণ থাকতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে। সিথোয়েনটি কর্তৃত্বের সঙ্গে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যায়, এর দুই-টনের সাইরেন ছুরির মতো করে চলাচলরত যানবাহনের সারি বিচ্ছিন্ন করে।

“লে ক্যাপিতেন জেনে খুশি হবেন আজ রাতে এখনো আপনি প্যারিস আছেন”, এজেন্ট বলেন, তারা হোটেল ছেড়ে আসার পর এই প্রথম সে কথা বলল। “একটি অনুকূল দৈবযোগ”।

ল্যাংডন নিজেও একে অনুকূল না ভেবে পারেন না, আর দৈবযোগ এমন একটি ধারণা যার ওপর তার একেবারেই বিশ্বাস নেই। সারা জীবন অসম প্রতীক আর ভাবাদর্শের গোপন অন্তসংযোগের পেছনে ছুটে পার করছে এমন কারও মতো, ল্যাংডন বিশ্বাটাকে ইতিহাস আর ঘটনা সমূহের পরস্পরবিজড়িত নিবিড় এক জাল হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত। হতে পারে এই যোগাযোগগুলো একেবারে অদৃশ্য, তিনি প্রায়ই হারভার্ডে তার সিম্বলজি ক্লাসগুলোতে কথাটি বলে থাকেন, কিন্তু এসবের মাঝে এই সব সংযোগ সব সময়ই ছিল, উপরিতলের খানিকটা গভীরে সমাধিস্থ।

“আমার ধারণা”, ল্যাংডন বলেন, “আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব প্যারিস আপনাকে বলেছে আমি কোথায় উঠেছি?”

ড্রাইভার মাথা ঝাঁকান। “ইন্টারপোল। ”

ইন্টারপোল, ল্যাংডন ভাবেন। অবশ্যই। সে ভুলেই গিয়েছিল সব ইউরোপিয়ান হোটেলগুলোতে ঢুকবার সময়ই বাকি সব খেয়ালি আনুষ্ঠানিকতার বদলে পাসপোর্ট দেখবার জন্য খুব বিচক্ষণভাবে অনুরোধ করে থাকে- এটাই আইন। যেকোনো রাত্রিতে, সমস্ত ইউরোপজুড়ে, ইন্টারপোল কর্মকর্তারা কে কোথায় ঘুমাচ্ছে তা একেবারে নির্ভুলভাবে খুঁজে বের করতে পারে। ল্যাংডনকে রিট্জ-এ খুঁজে পেতে সম্ভবত তাদের বড়জোড় পাঁচ সেকেন্ড সময় লেগেছে।

সিথোয়েনটি গতি বাড়িয়ে শহরের দক্ষিণে ধেয়ে যাওয়ার সময়, কাছ থেকে দূর আকাশের দিকে সবেগে নিক্ষিপ্ত, আইফেল টাওয়ারের আলোকিত চেহারা ভেসে ওঠে। এটা দেখেই, ল্যাংডন ভিত্তোরিয়ার কথা ভাবে, প্রতি ছয়মাস অন্তর আবারও তারা বিশ্বের বিভিন্ন রোমান্টিক স্থানে মিলিত হবে, এক বছর আগে খেলাছলে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতির কথা মনে পড়ে যায়। আইফেল টাওয়ার, ল্যাংডনের মনে হয়, তাদের তালিকাতে থাকতে পারে। বছর খানেক আগে রোমের জনাকীর্ণ এয়ারপোর্টে বিষণ্নভাবে সে ভিত্তোরিয়াকে শেষবারের মতো চুমু খেয়েছিল।

“আপনি কি ওর ওপর চড়ে ছিলেন?” ওপরের দিকে তাকিয়ে, এজেন্ট জিজ্ঞেস করে।

বুঝতে না পারায়, ল্যাংডন তার দিকে তাকায়। “মাফ করবেন?”

“ও দেখতে আকর্ষণীয়, তাই না?” এজেন্ট উইন্ডশিল্ডের মাঝ দিয়ে আইফেল টাওয়ারের দিকে ইশারা করে। “আপনি কি ওর ওপর উঠেছেন?”

ল্যাংডন চোখ সরায়। “না, টাওয়ারের ওপর এখনও ওঠা হয়নি। ” “ও ফ্রান্সের প্রতীক। আমার ধারণা ও নিখুঁত। ”

ল্যাংডন অন্যমনস্কভাবে মাথা নাড়ায়। সিম্বলজিস্টরা প্রায়শই বলে থাকেন যে, ফ্রান্স- এমন একটি দেশ যা নেপলিয়ন ও পেপি দ্য শর্ট-এর মতো পৌরুষদীপ্ত, মৃগয়াপটু, খাটো অনিশ্চিত নেতার জন্য বিখ্যাত হবার পরও- হাজার-ফুটের একটি লিঙ্গ প্রতীকের বদলে কেন যে তারা আরও কোনো সঙ্গত জাতীয় প্রতীক বেছে নিতে পারেনি।

তাদের রুয়ে দ্য রিভোরি মোড়ে পৌঁছাবার পর, লাল রঙের ট্রাফিক বাতি জ্বললেও, সিথোয়েনটি থামে না। এজেন্ট গতি বাড়িয়ে সেডানটিকে সংযোগের ওপারে নিয়ে যান এবং রুয়ে কাস্টিলিয়োনের একটি বনছাওয়া অংশের দিকে ছোটেন, যা বিখ্যাত তুইলারিস গার্ডেনের প্রবেশ পথের কাজ করছে- প্যারিসের নিজস্ব ধাঁচের সেন্ট্রাল পার্ক। বেশিরভাগ পর্যটক শব্দটিকে এখানকার হাজার হাজার ফুটন্ত টিউলিপের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার কারণে জাদান দ্য তুইলারি-এর ভুল অনুবাদ করে থাকেন, কিন্তু বাস্তবে তুইলারিস অনেক কম রোমান্টিক কোনো একটি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই পার্কটি এক সময় ছিল অসংখ্য, দূষিত খানাখন্দে ভরা যেখান থেকে প্যারিসিয়ান কন্ট্রাকটরেরা শহরের বিখ্যাত লালছাদের টাইলস- বা তুইলেস প্রস্তুতের জন্য খনিজ কাদা সংগ্রহ করত।

তারা জনমানবশূন্য পার্কটিতে প্রবেশের পর, এজেন্ট ড্যাসের নিচে হাত বাড়ান এবং তীব্র স্বরে বাজতে থাকা সাইরেনটি বন্ধ করেন। আকস্মিক এই নীরবতার আমেজে, ল্যাংডন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। গাড়ির বাইরে, হ্যালোজেন হেডলাইটের মলিন আলো বিধৌত নগর-উদ্যান পথের নুড়ি চূর্ণের ওপর, টায়ারের অমসৃণ শোঁ-শোঁ শব্দ একটি সম্মোহক ছন্দের সৃষ্টি করে। ল্যাংডন সব সময়ই তুইলারিসকে একটি পবিত্রস্থান বলে গণ্য করে এসেছেন। এই সব বাগান যেখানে ক্লদ মন্দে অবয়ব আর রঙ নিয়ে গবেষণা করেছেন, এবং বাস্তবে ইমপ্রেশনিস্ট আন্দোলনের শুরুকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আজরাতে, তবু, জায়গাটি আসন্ন বিপদের অদ্ভুত এক আভা ধারণ করে আছে। সিথোয়েনটি এবার বামে মোড় নিয়ে, আড়াআড়ি পশ্চিমে পার্কের বৃক্ষ শোভিত মূল সড়ক থেকে নেমে আসে। বৃত্তাকার একটি পুকুরের চারপাশ ঘুরে, ড্রাইভার প্রশস্ত চারকোণা প্রান্তরের মাঝ দিয়ে ধেয়ে যাওয়া জনমানবশূন্য একটি সড়ক অতিক্রম করে। ল্যাংডন প্রকাণ্ড একটি পাথরের আর্চওয়ে দিয়ে চিহ্নিত তুইলারিস গার্ডেনের শেষটা দেখতে পান না।

আখ্ দ্যু কাহুজেল।

এক সময় আখ্ দ্যু কাহুজেল-এ উন্মত্ত সব ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠিত হবার পরও, শিল্প বোদ্ধারা জায়গাটিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে শ্রদ্ধা করে থাকেন। তুইলারিস-এর শেষ প্রান্তের সমতল এলাকা হতে, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা শিল্প জাদুঘরগুলো দেখতে পাওয়া যাবে... এর প্রতিটিই কম্পাসের এক একটি প্রান্তে অবস্থিত।

ডান-হাতের পাশের জানালার বাইরে, সেইন নদী আর কে ভলতেয়ারের দক্ষিণে, ল্যাংডন নাটকীয়ভাবে পুরাতন ট্রেন স্টেশনের আলোকিত অবয়ব দেখতে পান- এখন তা মিউজি দ’খছে নামে পরিচিত। বামে তাকিয়ে, তিনি উত্তরাধুনিক পোম্পিডু সেন্টারের উপরটুকু দেখে চিনতে পারেন, এখন যা আধুনিক শিল্প জাদুঘর ভবন। তার পেছনে পশ্চিমে, ল্যাংডন জানেন রামেসিসের প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ গাছের উপর থেকে উঁকি দিয়ে, মিউজি দ্যু জ্যু দ্য পুম-এর কথা জানান দিচ্ছে।

কিন্তু গাড়িটি একেবারে সোজা, পূব দিকে, আর্চওয়ের মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায়, এখন তাই ল্যাংডন মনোলিথিক রেনেসাঁ প্রাসাদটি দেখতে পান না যা বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত আর্ট মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে।

মিউজি দ্যু ল্যুভর।

স্বপ্ন-সৌধটির সম্পূর্ণ ভর চোখ দিয়ে শুষে নেওয়ার বৃথা চেষ্টা করতেই ল্যাংডন বিস্ময়ের পরিচিত এক আমেজ অনুভব করেন। তাক লাগানো সুপ্রশস্ত একটি খোলা চত্বর পেরিয়ে, ল্যুভর ভবনের জমকালো সামনের অবয়বটি প্যারিসের খোলা আকাশের বিপরীতে আস্ত একটি নগরদূর্গের মতো জেগে ওঠে। প্রকাণ্ড একটি ঘোড়ার খুড়ের আকৃতির, এই ল্যুভর ছিল ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘতম দালান, পর পর শুইয়ে রাখা তিনটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে চওড়া। এমনকি জাদুঘরের শাখা সমূহের মাঝে বিস্তৃত দশলাখ বর্গফুটের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত এর সামনের এই প্রসারিত চেহারার রাজকীয়তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে না। ল্যাংডন একবার ল্যুভরের বাইরের দিককার পুরোটা হেঁটে হেঁটে দেখেছেন, সেটা ছিল টানা তিন মাইলের এক বিস্ময়কর ভ্রমণ।

এই দালানের ৬৫ হাজার ৩শটি শিল্পকর্মের সবগুলো ভালোভাবে দেখতে একজন দর্শনার্থীর আনুমানিক পাঁচদিন সময় লাগলেও, বেশিরভাগ পর্যটক সংক্ষিপ্ত এক অভিজ্ঞতাকেই বেছে নেন ল্যাংডন যাকে “ল্যুভর লাইট” নামে অবিহিত করে থাকেন- বিখ্যাত তিনটি জিনিস দেখার জন্য তারা জাদুঘরজুড়ে মরণপণ ছুটে বেড়ান: দ্য মোনা লিসা, ভেনাস দ্য মিলো এবং উইং ভিক্টোরি। আর্ট বুচওয়ার্ড একবার বড়াই করে বলেছিলেন, তিনি তিনটি মাস্টারপিসের সবগুলো পাঁচ মিনিট পঁয়ষট্টি সেকেন্ডের মাঝে দেখে নিয়েছেন।

ড্রাইভার হাতলওয়ালা একটি ওয়াকি-টকি তুলে নেন এবং দ্রুত ফরাসিতে কথা বলতে শুরু করেন। “মসিয়েঁ ল্যাংডন এ্যা এ্যারিভো। দ্যু মিন্যুট- মসিয়েঁ ল্যাংডন চলে এসেছেন। দুই মিনিট। ”

চলবে…
 

সোহরাব সুমন সমকালীন একজন কবি। জন্ম বেড়ে ওঠা এবং পড়ালেখা ঢাকায়। তার মননশীলতা তার সৃষ্টিকর্মেই ভাস্বর। কবির নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্য প্রচেষ্টা এবং সৃজনশীলতা তার আশপাশের পরিচিত বিশ্ব তার কাব্যিক রূপ-রস-গন্ধ সমেত পাঠকের চেতনায় জীবন্ত হয়ে উঠতে বাধ্য। একনিষ্ঠ এই কবি দীর্ঘদিন যাবৎ কবিতা, ছোটগল্প, সৃষ্টিশীল ফিচার লেখার পাশাপাশি অনুবাদ করে চলেছেন। ‘শুধু তুমি কবিতা’, ‘কবিতার বিস্বাদ প্রহর’ এবং ‘ভালোবাসি তোমার ছোঁয়া’ তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘আরববিশ্বের গল্প,’ ‘মিশরের শ্রেষ্ঠ গল্প,’ ‘ইরাকের শ্রেষ্ঠ গল্প,’ ‘ইতালির শ্রেষ্ঠ গল্প’ এবং ‘যুদ্ধের মেয়ে’ তার এযাবৎ প্রকাশিত অনুবাদ গল্পসংকলন। ‘স্পেনের শ্রেষ্ঠ গল্প’ তার সম্পাদিত গল্পসংঙ্কলন। ‘দ্য ট্রাভেলস অব মার্কো পলো’ তার অনূদিত অভিযাত্রিক ভ্রমণকাহিনী। বিখ্যাত মার্কিন লেখক এবং ইতিহাসবিদ হ্যরল্ড ল্যাম্ব রচিত সুলেমান দ্য মেগনেফিসেন্ট সুলতান অব দ্য ইস্ট তার অনূদিত ইতিহাস গ্রন্থ। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে বিখ্যাত লেখক এনিড ব্লাইটন এর ‘শ্যাডো দ্য শিপ ডগ’। তাছাড়া তার অনূদিত একই লেখকের ‘রহস্য দ্বীপ’ কিশোর উপন্যাসটিসহ বিশ্বসাহিত্যের বেশকিছু বিখ্যাত বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সঙ্গত কারণেই তার কবিতা, অন্যান্য লেখা এবং অনুবাদকর্ম পাঠকমহলে বহুল সমাদৃত।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।