মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমি আয়োজন করে ভাষাসংগ্রামী অজিতকুমার গুহ স্মারক বক্তৃতার। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আনিসুজ্জামান বলেন, আমার সৌভাগ্য যে আমি অজিতকুমার গুহ'র ছাত্র ছিলাম। বিদ্যাদানের বাইরেও অজিতকুমার গুহ তার শিক্ষার্থীদের রুচিবান হতে শিখিয়েছিলেন, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনে যেমন তার ভূমিকা রয়েছে, তেমনি ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও তার উজ্জ্বল উপস্থিতি বজায় ছিল।
আয়োজনে স্মারক বক্তৃতা দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। তিনি বলেন, শিক্ষক হিসেবে অজিতকুমার গুহ নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তার ব্রত। তার রচনা সংখ্যাগত বিচারে অপ্রতুল হলেও বাংলা সাহিত্য-সমালোচনায় উচ্চমানের পরিচয়বহ। পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমরা তাকে অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারি। মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি কারাবরণ করেছেন, কারাগারে গিয়েও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
অজিতকুমার গুহ ও তার প্রজন্ম তাদের জীবনসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাংস্কৃতিক পটভূমি নির্মাণ করে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে যুক্ততা এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারে অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবার্তা সম্পাদক অধ্যাপক এ এন রাশেদা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং অ্যারমা দত্তসহ বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ