একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের জনপ্রিয় এ কবি বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেন। বাংলা একাডেমির জনপ্রসাশন শাখা বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দাও বৃক্ষ দাও দিন, মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি, হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি, নোনা জলে বুনো সংসার, স্বপ্নহীনতার পক্ষে, আমার একজনই বন্ধু, পোশাক বদলের পালা, প্রেমের কবিতা, কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা, সিংহদরজা, বেদনার চল্লিশ আঙুল, ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়, বিপ্লব বসত করে ঘরে, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ন, জয় বাংলা বলো রে ভাই, সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না, সুগন্ধ ময়ূর লো, নির্বাচিত কবিতা, মুখোমুখি: তুচ্ছ; স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা, হ্রী, কতো আছে জলছত্র, কতোদূর চেরাপুঞ্জি, কাদামাখা পা, ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই, একা ও করুণা, যমজ প্রণালী, আমার জ্যামিতি, পশ্চিমের গুপ্তচর, কবিতাসমগ্র ইত্যাদি।
এছাড়া কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকা, পরাজয়, মৌলানার মন, রুমীর কবিতা, দ্বিতীয় পাঠ, মিশ্রমিল, গদ্যের গন্ধগোকুল, ইল্লিবিল্লি, নাইপাই, রাজা হটপট, ফুঁ, ফুড়ুৎ, মেঘভ্রমণ, ছয় লাইনের ভূত তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, অনুবাদ গ্রন্থ, আত্মজৈবনিক, গদ্যগ্রন্থ ও শিশুসাহিত্য।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (২০১৬) ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১) ছাড়াও বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার (২০১০), যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯)-সহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
শামসুজ্জামান খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী। দশ বছর দায়িত্ব পালনের পর গত মে মাসে তার মেয়াদ শেষ হলে মহাপরিচালকের পদটি শূন্য ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এইচএমএস/এএ