রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আয়োজনের তৃতীয় দিনের পরিবেশনা। একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব।
বিকেলে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চারনেতা' এবং স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র 'পুতুল পুরাণ' প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দিনের আয়োজন। এরপর একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ড. কাজী আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী আব্দুল মান্নান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
আলোচনা পর্ব শেষে ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই..’ এবং ‘আইজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন ধৃতি। ‘ও আমার বাংলা মা তোর..’ এবং ‘জলে গিয়েছিলাম সই..’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমি।
‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে..’ এবং ‘আজি বাহাল করিয়া..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন নান্দনিক। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাইফুল ইসলাম, কিরণ চন্দ্র রায়, আবিদা সুলতানা সেতু, শরীফ সাধ এবং অপু।
ঋত্বিক ঘটক'র রচনায় এবং অভিজিকৎ সেন গুপ্ত পরিচালিত নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেশন করে নাট্যদল দৃষ্টিপাত। লিয়াকত আলী লাকী’র গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটক পরিবেশন করে লোক নাট্যদল (সিদ্বেশ্বরী)। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য গম্ভীরা পরিবেশিত হয় আয়োজনে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তামান্না তিথি।
বিজয়ের মাসে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ প্রতিপাদ্যে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। আরো থাকবে আলোচনা, চলচ্চিত্র, নাটক, পালা, সংগীত ও নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিকসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি