গ্রন্থটি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে আগমনের সময়কাল ১৯৮১-১৯৯০ প্রথম খণ্ড, ১৯৯১-২০০৬ দ্বিতীয় খণ্ড ও ২০০৭-২০১৬ পর্যন্ত তৃতীয় খণ্ডে বিভক্ত। এটি প্রকাশ করছে পাঠক সমাবেশ।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ উপলক্ষে গ্রন্থ পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ জহির (বীরপ্রতীক), কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও পাঠক সমাবেশের প্রকাশনা প্রধান ওয়াহিদুল হক।
ড. তৌফিক এলাহী বলেন, আমাদের মধ্যে যারা গবেষক হবে, ইতিহাস লেখবে তাদের জন্য মূল্যবান উপাদান হবে এ গ্রন্থ। প্রথম অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফিনিক্স পাখির মিল আছে। তিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন। এখান থেকে আমাদের শেখার আছে। ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ গ্রন্থটি তথ্যবহুল। প্রধানমন্ত্রীর ১৯৮১-৯০ পর্যন্ত সময়কালের তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করবে এটি।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, এটি ইতিহাস গ্রন্থ নয় কিন্তু ইতিহাস রচনারভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সেসময় জাতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা গিয়েছি এটি প্রত্যেকের আত্মজীবনীর অংশ।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক অবস্থা জানতে গবেষণায় এই বই অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবীর। খুলনার প্রখ্যাত সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালুর জ্যেষ্ঠ পুত্র আসিফ কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অধ্যয়ন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস