ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

গান-কবিতার অনুপম যুগলবন্দি আইজিসিসি'র আয়োজনে

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
গান-কবিতার অনুপম যুগলবন্দি আইজিসিসি'র আয়োজনে

ঢাকা: বাঙালির গান বাংলা সংগীত ভুবনের অনন্য এক সংযোজন। শুধু গান নয়, তাদের কবিতাও যুগজয়ী। আর সেসব গান ও কবিতার এক অনুপম যুগলবন্দি উপভোগ করল রাজধানীর দর্শক-শ্রোতারা।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) আয়োজনে এ যুগলবন্দি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে।  

আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতীয় সংগীত শিল্পী আফসানা রুনা।

মৌলিক ও দ্বৈতকণ্ঠে কবিতা নিবেদন করেন আবৃত্তি শিল্পী শিহাব শাহরিয়ার এবং ভারতীয় বাচিক শিল্পী মধুবন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে শ্রোতা-দর্শকদের জন্য আফসানা রুনা নিবেদন করেন- ‘চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার, সবকটা জানালা খুলে দাও না, বিমূর্ত এই রাত্রী আমার, তুমি না হয় রহিতে কাছে, বল কোন বাঁশরিয়া, আমার আপনার চাইতে আপন যে জন, মায়াবতী, দু’টি মন আর নেই দু’জনার, ওগো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়ো না’সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক, নজরুল গীতি, মৌলিক, ভারতীয় ও আধুনিক গান।

দর্শক-শ্রোতারা প্রাণভরে সেসব গান শোনেন। তারই মাঝে আবার মুগ্ধ হন কবিতার শাণিত উচ্চারণে। শিহাব শাহরিয়ারের লেখা কবিতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম, সম্পর্কের বোঝাপড়ার সূত্র, নদী, নক্ষত্র, স্বপ্ন, বসন্ত আর গোধূলির রং বা ফড়িংয়ে পাখার মতো সুন্দর সব কবিতায় আয়োজনে ভাবের মেজাজ আনেন শিহাব শাহরীয়ার ও ভারতীয় আবৃত্তি শিল্পী মধুবন চক্রবর্তী। পাঠ করেন কবিতায় আশ্রিত আবেগঘন চিঠিও।

পরিপাটি ও ছিমছাম আয়োজনে কণ্ঠ ও যন্ত্রের সঙ্গে স্বর্গীয় দ্যোতনা ছড়িয়ে কবিতা ও গানে গোটা আয়োজন ছিল জমজমাট ও প্রাণবন্ত; এমনটাই বলেন দর্শক-শ্রোতারা। গানের ফাঁকে, কবিতার ফাঁকে শিল্পীরা বলেন নিজেদের কথাও। তারা বলেন, গান আর কবিতা ঠিক যেন একই সুরে বাঁধা। অনেকটা আকাশ আর মেঘের মতো। আর সে কথাকেই যেন বাস্তবে রূপ দেয় আয়োজনের ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ গানটি। তাইতো শ্রোতার মনে ও মননের গান-কবিতার আবেশ ছড়িয়ে যায় ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের পুরটা জুড়ে।

আয়োজন শেষে শিল্পীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আইজিসিসি’র মহাপরিচালক ড. নীপা চৌধুরী। তিনি বলেন, একটা আয়োজন দর্শকদের হৃদয়ে কতটা পৌঁছাতে পারে, তার ওপরই তার সার্থকতা নির্ভর করে। একজন দর্শক ও শ্রোতা হিসেবে বলতে হয়, আমার মনে হয়েছে আজকের আয়োজন সে সার্থকতা পেয়েছে।  

আসরের সমস্ত নিবেদন যেন আমাদের মুগ্ধ করেছে। প্রতিটি মুহূর্ত ছিল উপভোগ্য। ভালো লাগাটা অনেকদিন রয়ে যাবে— বলেন নীপা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।