ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

তিন তরুণ কবি ঐশী-রাহুল-মুগ্ধ’র ইংরেজি কবিতার বই প্রকাশ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
তিন তরুণ কবি ঐশী-রাহুল-মুগ্ধ’র ইংরেজি কবিতার বই প্রকাশ সঞ্চালকের সঙ্গে আড্ডায় তিন তরুণ কবি

ঢাকা: বাঙালি হলেই যে ইংরেজিতে লেখা যাবে না, এমনটা নয়। মনের ভাব প্রকাশ করা যায় যে কোনো ভাষাতেই। প্রয়োজন শুধু সৃজনশীলতা আর মুন্সিয়ানা। যা বলতে চাওয়া, সেটা সুন্দর সাবলীলভাবে বোঝাতে পারা যেকোনো ভাষার অন্যতম ধর্ম। নিজের মাতৃষাষা ছাড়া অন্য ভাষায়ও যে চমৎকার লেখা যায় তার প্রমাণ দিলেন তিন তরুণ কবি।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্সে বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা আড্ডা হলো ইংরেজিতে লেখা শায়রা আফরিদা ঐশীর ‘অন ডেইজ লাইক দিস’, রাহুল হকের ‘ফাইন্ডিং চি’ এবং মুগ্ধ চন্দ্রিকার ‘স্টিজিয়ান সেরেন্ডিপিটি’ কবিতার বইয়ের। অনুষ্ঠান সঞ্চলানা করেন কবি, অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন।

তরুণ কবিদের নিয়ে আড্ডায় অভিনবত্ব আর বৈচিত্র্য ছিল পুরো আয়োজন জুড়ে। সে আয়োজনে কথা হয় কবিদের কবিতা লেখার অনুভূতি, কেন কবিতা লেখা, কবিতা, সমকালীন শিল্প-সাহিত্য নিয়ে তাদের উপলব্ধি, ভাবনা এবং দায়বদ্ধতা নিয়েও।

শায়রা আফরিদা ঐশী কবিতা লেখেন কোনো না কোনো ঘটনা কেন্দ্র করে। বলেন, ১৮ বছর বয়স থেকে আমার কবিতা লেখা শুরু। কলেজের একটা আয়োজনে কবিতা পাঠের জন্যই মূলত প্রথম কবিতা লেখা হয়েছিল। তারপর ইউটিউব আর বিভিন্ন অনলাইন কোর্স থেকে লেখা আর আবৃত্তির উপর একটু চর্চা করে কলেজের আয়োজনে সেটি আবৃত্তি করি। এভাবেই শুরু কবিতার।

নিজের ভাবনাগুলোকে একটু ছড়িয়ে লিখতে পছন্দ করেন কবি রাহুল হক। বলেন, লিখছি প্রায় ১২ বছর ধরে। অনেকগুলো কবিতার সংকলনের মধ্য থেকে এটিই প্রথম কাব্যগ্রন্থ। আর কবিতা লেখার উৎসাহটা আসে মূলত গান থেকে। মাঝে মাঝে গল্পও লিখি, তবে কবিতার সংখ্যাই বেশি।

আর লেখা সংক্ষিপ্ত করে ইঙ্গিতময়তার দিক দিয়ে বড় ইশারা দেন মুগ্ধ চন্দ্রিকা। কবিতা লেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মাথায় যেটা আসে আমি মূলত সেটাই লিখে যাই। এরপর সেই কবিতাটা নিয়েই চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে শব্দের পরিবর্তন হয় বারবার। যখন মনে হয় এবার ঠিক আছে, তখনই বুঝি সম্পন্ন হয়েছে কবিতাটি।

একই সুরে তিন তরুণ কবি বলেন, ইংরেজি কবিতার মাধ্যমে মানুষের বিচিত্র উপলব্ধি, বিষয়-বৈচিত্র্য আর উপস্থাপনের মুন্সিয়ানায় বাংলা কবিতাকে বিশ্ব সাহিত্যে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান দেওয়া সম্ভব। একই সঙ্গে বিশ্বমানের কবিতার বিষয় ও গতিপ্রকৃতির সঙ্গেও সাম্প্রতিক বাংলা কবিতার মেলবন্ধনের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।

আয়োজনে কথা বলেন অনুবাদক জামিল হোসেন। তিনি বলেন, কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রকাশে আবেগকে সংহত করে খুব অল্প শব্দে দ্যোতনা ছড়ানোর ব্যাপার আছে এই কবিদের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন তরুণ কবির অভিভাবকও। তারা জানান, সন্তানদের সাহিত্যমুখী করতে তারাও সব সময় অনুপ্রাণিত করেন।

শায়রা আফরিদা ঐশী মুদ্রণ বিশেষজ্ঞ কামরুল হাসান শায়কের কন্যা, কথাসাহিত্যিক সিদ্ধার্থ হকের পুত্র রাহুল হক ও কবি ফরিদ কবিরের কন্যা মুগ্ধ চন্দ্রিকা।

অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত শিল্পী লীনা তাপসী খান, অন্য প্রকাশের প্রকাশক মাহজারুল ইসলামসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিথত ছিলেন।

‘অন ডেইজ লাইক দিস’ বইটি প্রকাশ করেছে জার্নিম্যান, ‘ফাইন্ডিং চি’ ও ‘স্টিজিয়ান সেরেন্ডিপিটি’ বই দু’টি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।